অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৭শে মার্চ ২০২৫ | ১৩ই চৈত্র ১৪৩১


৫ আগস্ট আন্দোলনে নিখোঁজ ভোলার হাসানের মরদেহ শনাক্ত শেষে পারিবারিক ভাবে দাফন সম্পন্ন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ০২:২৫

remove_red_eye

৭০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত ভোলার  মো. হাসানের (১৯) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া সামান্দার মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নিজ গ্রামে শহীদ হাসানকে সমাহিত করা হয়। 
এর আগে গত শুক্রবার  জুমার নামাজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহ হাসানের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
হাসানের বাবা মো. মনির হোসেন বলেন,গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ভোলার মো. হাসান। দীর্ঘ ছয় মাসেও সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। অবশেষে  ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ডিএনএ টেস্টেনমুনা দেন এবং হাসানের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তাদের ডিএনএ নমুনা মেলে। পরে লিখিত ভাবে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের করেন।  দাফন শেষে হাসান হত্যার বিচারের  দাবিতে  বিক্ষোভ মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধীরা।
মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও হাসানের পরিবারের সদস্যরা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। 
হাসানের বাবা মনির হোসেন আরো বলেন,আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে? আমার ভাইয়ের রক্ত; বৃথা যেতে দেবো না; সাইদ, ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; বিচার বিচার বিচার চাই,স্লোগান দেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
শহীদ মো. হাসান ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবান্দার  গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারি বাড়ির ভাড়াটিয়া দিনমজুর মো. মনির ও গোলেনূর বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান ও সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান ছিলেন।

 





আরও...