অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


অপপ্রচারের প্রতিবাদে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপি'র সংবাদ সম্মেলন


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮শে জানুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭

remove_red_eye

২৩৭

ফখরে আজম পলাশ, তজুমদ্দিনঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তজুমদ্দিন উপজেলার আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং উপজেলা যুবদল আহবায়ক এর বিরুদ্ধে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে তজুমদ্দিনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বিকালে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু বলেন, একটি পক্ষ দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ভোলা-০৩ আসনের ০৬ বারের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম কে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তার অংশহিসেবে তজুমদ্দিন ও লালমোহনে হাফিজ সাহেবের একান্ত বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো অব্যাহত রয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা চাঁদপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও তজুমদ্দিন রিপোটার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মোঃ মনির হোসাইন ওরফে কিশোর মনির গত ২৭ জানুয়ারী ঢাকা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবং ফেইসবুকে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপি ও আমাদের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু, সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু ও যুবদল আহবায়ক হাসান সাফা পিন্টুর নামে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ আনেন।
গত ২৩ জানুয়ারী কিশোর মনিরের নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভের মাধ্যমে জানতে পারি চর জহিরউদ্দিনের একটি ফেসবুক পোস্ট কে কেন্দ্র করে দুলালের লোকেরা তাকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে মারপিট করে। লাইভে সে বলেন, যারা তাকে মেরেছে তারা আওয়ামী লীগ করতো। তাদের অনেককে মনির চিনতে পেরেছে। তখন তারা নাকি বলেছিলো বিএনপির নেতাদের হুকুমে তাকে সায়েস্তা করা হইতেছে।
আমরা ফেইসবুকে লাইভ দেখে হামলাকারীদের ব্যাপারে মনিরের কাছে খোজখবর নিয়েছি, প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিশ মনিরকে মামলা দিতে বলিলেও সে বাদী হতে রাজী হয়নি। যারা আশ্রয়নের মালামাল নিয়েছে হাফিজ সাহেবের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এমনকি একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরেও মনির চিকিৎসার নামে ঢাকায় গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন ভিডিও ছবি ও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারি, মনির হোসাইন একসময় ছাত্রশিবির করতো। তার কার্যকলাপে অসন্তষ্ট হয়ে শিবির তাকে বহিস্কার করে। পরে মনির আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এমপি শাওনকে ফুলের মালা পড়িয়ে চাঁদপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী নেন।
মনির হোসেন একজনের অপরাধ অন্যজনের ঘারে চাপিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার স্বীকার হয়ে এই দায় বিএনপির ওপর চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।