অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে কথা কাটাকাটির মধ্যে ছুরিকাঘাতে ক্ষত করার অভিযোগ


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে জানুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬

remove_red_eye

১৮১

আকবর জুয়েল, লালমোহন : ভোলার লালমোহনে কথা কাটাকাটির মধ্যে ছুরি দিয়ে পোচ দিয়ে ক্ষত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গজারিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বেলায়েত এর ছেলে মো. নুর হোসেন অভিযোগ করে জানান, দুই বছর আগে আমি ঢাকার বনানি একটি কোম্পানিতে চাকুরি করতাম। বনানীর ১নং উঠান বস্তিতে আমাদের এলাকার সাদেক মেস্তুরির ছেলে মো. হারুন থাকতো। আমি জানতে পারি হারুন সেখানে মাদকের সাথে জড়িত, এজন্য তার কাছে আমি যেতাম না। আমি তার কাছে নিয়মিত না যাওয়ার কারনে তখন বনানীতে একটি মেয়েকে নিয়ে চক্রান্ত করে হারুন। সে ওই মেয়েকে নিয়ে সেখানকার আওয়ামীলীগ বস্তিতে আমার নামে বিচার দাখিল করে। একদিন আমাকে অন্য কথা বলে আওয়ামীলীগ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি আমার নামে বিচার । আমি হতভম্ব ও ভয় পেয়ে যায়। তখন হারুনের নেতৃত্বে আমাকে ব্যাপক মারধর করে এবং আমার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া আমার টাচ মোবাইল, হাত ঘড়ি, স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। আমি জরিমানা দিয়ে ভয়ে ঢাকার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসি। হঠাৎ গত ২২ জানুয়ারি গজারিয়া বাজারে হারুনসহ দুই তিনজনকে আমি দেখতে পাই। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করি আমার সাথে ঢাকাতে কেন এমন করেছে। সে আমার সাথে উত্তোজিত হয়ে কথা বলা শুরু করে এবং দুজনের মধ্যে কথার কাটাকাটি হচ্ছিল। কথার মধ্যে সে পকেট থেকে ছুরি বের করে আমাকে পোচ দেয়। আমি সরে গেলে আমার চোখের উপরে ছুরির পোচ লাগে। হারুন ও তার সাথে থাকা লোকজন আমার কাছ থেকে মোবাইল ও আমার কাছে থাকা টাকা নিয়ে দৌড়ে চলে যায়। আমার ডাক চিৎকারে লোকজন আমাকে নিয়ে বাজারের ফার্মেসীতে ডাক্তার দেখায়। আমি এখনো অসুস্থ। সুস্থ হলে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে হারুনের মোবাইলে বারবার কল করে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এরকম কোনা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





আরও...