অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৫শে মাঘ ১৪৩১


ভোলায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে জানুয়ারী ২০২৫ রাত ০৮:২৩

remove_red_eye

১৪৫

এইচ আর সুমন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভোলা শহরের মহাজনপট্টিস্থ জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভোলা জেলা শাখা এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রাইসুল আলম।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে রাইসুল আলম বলেন, শহিদ জিয়াউর রহমানের জন্মের মাধ্যমে বাঙালি জাতি এক সূর্য সন্তানকে পায়। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তার শাসন আমলে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, কর্মজীবনের অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও জিয়াউর রহমানের জীবনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সংকটে তিনি বারবার ত্রাণকর্তা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং দেশকে সে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি অস্ত্রহাতে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন। জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তার গড়া সেই রাজনৈতিক দল তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে নতুন ও সম্ভাবনাময় দেশ গড়ে তুলে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখান। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে দেশ মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, বশির হাওলাদার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল-আমিন,সিনিয়র সহ-সভাপতি আকবর হোসেন,  সহ-সভাপতি মুনতাসীর আলম রবিন চৌধুরী, জাকির হোসেন মনির, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশীদ সুমন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান সেন্ট, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মানিক, সাধারণ সম্পাদক তানভীর তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শরিফ, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া মঞ্জু, জিয়া মঞ্চের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীসহ অনন্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপির নেতাকর্মী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনায় ও খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করেন।দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নূরে আলম।