অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৯শে পৌষ ১৪৩১


চরফ্যাশনে পিপিআর টিকা বিতরণ কর্মসূচিতে অনিয়ম


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ই জানুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৫

remove_red_eye

২৩

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন : প্রতিনিধি: ভেড়া ও ছাগলের পিপিআর টিকা বিতরণ কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ৭৩ হাজার ৪শত ডোজ পিপি আর টিকা ২০জন মাঠ কর্মীর মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাগল ও ভেড়ার শরীরে পুশ করা হয়েছে। প্রতি ডোজের বিনিময়ে ৫ টাকা পাবেন মাঠ কর্মী। সে হিসেবে ৭৩ হাজার ৪শত পিপিআর টিকার জন্য মাঠ কর্মীরা পাচ্ছেন ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। 
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উল্টো চিত্র। কে, কখন, কিভাবে টিকা বিতরণ করেছেন, তার কিছুই জানেন না কয়েকটি ইউনিয়নের  ছাগল খামারীরা। ফলে উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত ছাগলের পিপি আর টিকা ও বরাদ্দকৃত অর্থ কাগজে বিতরণ দেখিয়ে অফিসে কর্মকর্তারা আত্মসাত করতে যাচ্ছেন! 
চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন চর নিউটনের বাসিন্দা বাবুল মাঝি বলেন, আমি ও আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালন করে আসছি। এখনও ছাগল পালন করছি।আমরা ছাগলের কোন পিপি আর টিকা পাইনি। কে টিকা দিয়েছে, তাকেও চিনিনা।
জিন্নাহগড় ইউনিয়নের কুতুবগন্জের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ভেন্ডার বলেন,প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্তৃক দেয়া কোন পিপি আর টিকা আমরা পাইনি। আমার ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।  কে টিকা দিয়েছেন,তার নামও জানিনা। চরফ্যাশন পৌরসভার ছাগল খামারী  মো:হাসান বলেন,আমরা শুনেছি, পশু হাসপাতালে ৭৪হাজার টিকা আসছে, আমরা উপজেলার কাছাকাছি থেকে পিপি আর টিকা পাইনি,তাহলে পেলেন কারা।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তারা অনিয়ম করে অন্য কোথায় টিকা বিক্রি করতে পারেন। জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি। 
এ প্রসঙ্গে চরফ্যাশন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেনারী হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মো: রহমতুল্লাহ জানান, উপজেলায় এবছর ৭৩ হাজার ৪শত পিপি আর টিকা বরাদ্দ এসেছে । আমরা ২০জন মাঠ কর্মীর মাধ্যমে টিকা বিতরণ কর্মসূচি গত পহেলা অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২৫ কর্মদিবস শেষ করেছি। পিপিআর টিকা বিতরণ কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।