অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৯শে পৌষ ১৪৩১


লালমোহনে মাদরাসা নির্মাণের চেষ্টা করায় হাফেজকে মারধর


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ই জানুয়ারী ২০২৫ রাত ০৮:৫৪

remove_red_eye

৩২

আকবর জুয়েল, লালমোহন : ভোলার লালমোহন উপজেলায় মহিলা মাদরাসা নির্মাণের চেষ্টা করায় মো. মনজুর রহমান নামে এক হাফেজকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই হাফেজ লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিগঞ্জ এলাকার নোয়াব আলী মাল বাড়ির ইব্রাহিম খলিল কালুর ছেলে।
অভিযোগ করে ভুক্তভোগী হাফেজ মো. মনজুর রহমান বলেন, নিজ বসতঘরের ওপর একটি মহিলা মাদরাসা নির্মাণের লক্ষ্যে দুইতলা পাকা ঘরের কাজ শুরু করি। ২ মাস আগ থেকে শুরু করা ওই কাজের প্রথম থেকেই আমাকে নানাভাবে বাঁধা দিয়ে আসছেন আমাদের বাড়ির মো. রফিক মাল। ঘরের নির্মাণ কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই কমবেশি মালামাল বাড়িতে আনতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ট্রাকে করে বাড়িতে ইট নেয়া হয়। তখন ওই ইট বাড়িতে ঢুকতে বাঁধা দেন রফিক মাল। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি অতর্কিতভাবে আমার বুকেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। এরপর তার তার ভাই শফিক মাল এবং চাচাতো ভাই খলিল মালও আমাকে মারধরের চেষ্টা চালান। তবে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাদেরকে সরিয়ে দেন। তবে রফিক মালের কিল-ঘুষিতে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় আমি শনিবার বিকেলেই লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।
অভিযোগের ব্যাপারে মো. রফিক মাল জানান, আমাদের বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজটি কিছুটা জরাজীর্ণ। তাই ওই ব্রিজে ইটের গাড়ি উঠাতে তাকে নিষেধ করেছি। তবে সে নিষেধ অমান্য করে ব্রিজের ওপর গাড়ি উঠানোর কারণে ব্রিজের হাতল ভেঙে যায়। যার জন্য মনজুকে রাগারাগি করেছি। তবে তাকে মাদরাসা নির্মাণে বাঁধা বা কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।