অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানবন্ধনের দাওয়াতি লিফলেট বিতরণ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই জানুয়ারী ২০২৫ রাত ১০:৪৫

remove_red_eye

৩২৫

ইসরাফিল নাঈম ,শষীভূশন,চরফ্যাশন  : ভোলার চরফ্যাশনে নবাগত ইউএনওকে শুভেচ্ছা না জানানোর ঘটনায় উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন আটকে দিয়ে ১ সপ্তাহ নিয়ম করে তার সাথে দেখা করার শাস্তি বাতলে দিয়ে অশ্লীল আচরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি। 
 
এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেন চরফ্যাশন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদ। আগামী সোমবার সকালে মানববন্ধনের পুর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চরফ্যাশন কেন্দ্রীয় খাস মহল মসজিদের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করার জন্য আহব্বান জানিয়ে সাধারন মুসুল্লিদের মাঝে দাওয়াতি লিফলেট বিতরন করেন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা। 
 
পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে লিফলেট বিতরন বন্ধ রাখেন আলেমরা।
 
জানা যায়, গত দুই মাস আগে নির্বাহী অফিসার হিসেবে চরফ্যাশন উপজেলায় যোগদান করেন নারী ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি। যোগদানের পর তার সাথে দেখা করতে আসেনি চরফ্যাশন মডেল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা। এতে ক্ষুব্ধ হন নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে গত মঙ্গলবার বেতন তুলতে ইউএনও’র কার্যালয়ে গেলে দেখা না করায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন ও মুয়াজ্জিন হাফেজ আবুল কালামসহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ইকরাম। 
 
এসময় ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুই মাস হলো এসেছি, কেন দেখা করেননি। বাবা-মা চিনেন না, খালা খালু চিনলে হবে? এসময় ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা একাধিকবার তাকে জানান দেখা করতে গিয়ে ভীরের কারনে দেখা করতে পারেননি জানালেও তাদের কোন কথা না শুনে উত্তেজিত হয়ে ইউএনও বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থাকলেন না কেন, ৪-৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন তবুও দেখা না করে যাবেন না। আগামী এক সপ্তাহ নিয়ম করে দেখা করবেন তাহলে বেতন পাবেন। ইউএনও’র এমন নিয়ম বহির্ভূত আচরনে ওই কক্ষে হতবম্ব হয়ে পরেছেন উপস্থিত সকলে।
 
এঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সাংবাদ প্রকাশ হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
 
উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক আবু তাহের জানান, স্থানীয় রাজনৈতি ব্যাক্তিবর্গ ও ইমাম ও মুয়াজ্জিনদেরকে নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়টির একটি সমঝোতা হয়েছে। এর মধ্যেই লিফলেট বিতরন করা হয়েছে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
 
ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও মডেল মসজিদের খতিব মো. মাওলানা সালাউদ্দিন জানান, যোগদানের পর তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় না করায় তিনি বেতন আটকে দিয়ে ১ সপ্তাহ দেখা করার শর্তে বেধে দেন। পরে ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলে তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেস্থতায় সমোঝতা হয়েছে। এবং তিনি ঘটনাটি নিয়ে অনুতপ্ত হয়েছে।
 
এবিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথিকে সরকারি মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।




আরও...