অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৬শে পৌষ ১৪৩১


আজ সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এম মতিউর রহমানের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ই জানুয়ারী ২০২৫ রাত ০৮:১৯

remove_red_eye

৩৬

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : আজ ৯ই জানুয়ারী ২০২৫ সাবেক সচিব এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত এম, মতিউর রহমান এর ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি ৯৫ বছর বয়সে ০৯ই জানুয়ারী ২০১৮ সালে ইন্তেকাল করেন । মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ৫ কন্যা  রেখে যান। এম মতিউর রাহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
উল্লেখ,সাবেক, সচীব, এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত এম মতিউর রহমান ১৯২৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পিরোজপুর জেলার কাউখালি থানার জয়কুল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি কাউখালি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ম্যট্রিক পাশ করার পর ১৯৩৮-১৯৪২ সাল পর্যন্ত বরিশাল বি এম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন ।   সর্ব ভারতীয় মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সদস্য হিসাবে ১৯৪১ সালে তিনি সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কনভেনশনে বরিশাল ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে যোগদান করেন।  বি এম কলেজে অধ্যয়ন শেষে এম মতিউর রহমান ১৯৪২-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং এম এ ও এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেন । এই সময়কালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাধারন সম্পাদক এবং এস এম হলের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৪৭ সালে তিনি আজিমপুর দায়রা শরীফের পীর হযরত শাহ সূফি লাকিতউল্লাহ (রহঃ) এর কন্যা সৈয়দা আসিয়া বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এম মতিউর রাহমান বিশাল পেশাগত জীবনের অধিকারী ছিলেন।তিনি ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং ১৯৪৯ সনে পাকিস্তানের প্রথম সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকুরীতে  যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উপ-সচীব পদে নিয়োগ লাভ করেন  এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের আন্ডার সেক্রেটারী থাকাকালে  তৎকালীন সরকারের ইকোনোমিক পুলের সদস্য নিযুক্ত হন। তিনি  কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারী হিসাবে পদন্নতি পেয়ে কৃতিত্বের সাথে কাজ করেন, এরপর ১৯৬২ সালে এম, মতিউর রহমান আভ্যন্তরীন নৌ চলাচল কতৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) হিসাবে যোগদান করে পরিকল্পনা ও উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৪ সালে এম মতিউর রাহমান কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ন-সচিব হিসেবে যোগদান করেন এবং তিনি ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের ফাইন্যান্স ডাইরেক্টরের পদে নিয়োজিত হন ।১৯৭০ সালে তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি এ সময়ে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
তিনি পাকিস্থানে বসবাসকারী বাঙালি সমিতির সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার কারনে এবং বাংলাদেশী আন্দলনকে সমর্থন জানানোর কারনে করাচিতে  তাকে বন্দী করে  কারাগারে প্রেরন করা হয়। ১৯৭৩ সালে এম, মতিউর রহমান আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সাহায্যে পরিবার সহ নিজ মাতৃভ‚মিতে ফিরে আসেন।
পরবর্তীতে এম মতিউর রহমান শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে এম, মতিউর রহমান বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ১৯৮২  সালে তিনি জাপান ও কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত  নিযুক্ত হন । তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট হিসাবে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্যপদ লাভ করেন।  
তিনি তার নিজ জেলা পিরোজপুরের আইরন-জয়কুল হাই স্কুল, জয়কুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়কুল আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং কারিগরী  স্কুল ও কলেজের মত অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি কাউখালী ডিগ্রি কলেজ (বর্তমান  সরকারী কলেজ) এর প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। জাতীয় সাহিত্য সংসদ সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য তাঁকে স্বর্ণপদক প্রদান করে।  বরিশাল বিভাগ সমিতি তাকে শেরে বাংলা পদক প্রদান করে।জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি নানাবিধ দায়িত্ব পালন করে এসেছেন এবং দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে তিনি সদা সচেষ্ট ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি