অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৬শে পৌষ ১৪৩১


লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ই জানুয়ারী ২০২৫ রাত ০৯:৪৮

remove_red_eye

৭৫

আকবর জুয়েল, লালমোহন : ভোলার লালমোহন উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. হাসানকে বুধবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই হামলার ঘটনায় আরো আহত হয়েছেন হাসানের স্ত্রী তাহেরা বেগমসহ মো. রুহুল আমিন এবং তার স্ত্রী রেখা বেগম।
অভিযোগ করে আহত মো. রুহুল আমিন জানান, গত ১ জানুয়ারি আমার ভাতিজা বাবলু পাওয়ার টিলার দিয়ে জমিতে চাষ দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় রিয়াজ ওই জমিতে চাষ দেওয়া বন্ধ করে তার জমিতে গিয়ে চাষ দিতে বলেন। তখন বাবলু, রিয়াজকে তার জমিতে কিছুক্ষণ পরে চাষ দেবেন বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হন রিয়াজ। পরে তিনি বাবলুকে বেধড়ক পিটিয়ে জমির মধ্যে ফেলে রেখে যান। পরে ঘটনাটি সে আমার ভাই মো. হাসানকে জানায়। এরপর আমার ভাই ওই ঘটনা জানতে গেলে তাকেও মারধর শুরু করেন রিয়াজ। খবর পেয়ে স্ত্রী রেখা বেগমসহ আমি ও ভাবী তাহেরা বেগম সেখানে গেলে রিয়াজ, নূরনবী, ইউসুফ নবী, আইয়ুব নবী, এয়াকুব নবী, আবুল কালাম, শাহে আলম, রাহাত, মান্নান এবং ফিরোজসহ অন্তত ৩০ জন মিলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসা শেষে আমরা সবাই হাসপাতাল থেকে ৫ জানুয়ারি বাসায় ফিরি। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলেও মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আমার ভাই হাসান তার জমিতে কাজ করতে গেলে আবারও তার ওপর হামলা চালায় রিয়াজসহ কয়েকজন। আমরা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের সেখান থেকে লাঠিসোঠা এবং দাঁ নিয়ে দৌঁড়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এরইমধ্যে হামলাকারীরা আমার ভাইকে বেধড়ক মারধর ও এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় অন্য লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে আবারও লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে আমার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার বিকেলে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হামলাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ অভিযোগের ব্যাপারে রিয়াজের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে রিয়াজ জানান, অন্য লোকদের সঙ্গে হাসান এবং তার ভাইদের মারামারি হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে যেহেতু দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে প্রকৃত কারণ জেনে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।