অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৬শে পৌষ ১৪৩১


ভোলায় নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করেনি অধিকাংশ ঠিকাদারভোলায় নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করেনি অধিকাংশ ঠিকাদার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ই জানুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:২৩

remove_red_eye

২০

৬৮৯ কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেও সময়ক্ষেপনের কারণে আগামী বর্ষায় মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা সদর উপজেলাকে রক্ষায় ৬৮৯ কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেও কাজ শুরু করেনি অধিকাংশ ঠিকাদার। এ প্রকল্পের ২৭টি প্যাকেজের মধ্যে গত ৬ মাসে কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ৮টির। বাকী ঠিকাদাররা কাজ শুরু করতে গড়িমসি করায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাঁধাগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। এদিকে মেঘনার ভাঙন ও জলোচ্ছাস থেকে ভোলাবাসীকে রক্ষার জন্য সরকার বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ দিলেও ঠিকাদারদের সময়ক্ষেপনের কারণে আগামী বর্ষায় ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা করছে মেঘনা পাড়ের মানুষ। তবে শিগগিরই কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে,মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন ও জলোচ্ছাস থেকে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি রক্ষায় ব্লকবাঁধ নির্মণের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল উত্তর ভোলার চারটি ইউনিয়নের মানুষ। জনতার দাবির মুখে ২০২৩ সালে ‘মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ভোলা সদর উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন ৬৮৯ কোটি টাকার প্রকল্প  হাতে নেয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রমত্তা মেঘনা থেকে রক্ষায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার এলাকা সংরক্ষণে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর তীর শক্তিশালী করণ তিন কিলোমিটার ও উপকূলীয় বাঁধ পূণর্বাসন সাড়ে ৫ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের ২৭ টি প্যাকেজের মধ্যে ২৫টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে হয়েছে ও বাকী ২টির টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। গত বছরের (২০২৪) জুন মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া ২৫টি প্যাকেজের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৮টি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হওয়া  প্যাকেজে কাজের গতিও কম। সূত্র আরো জানান,২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৭ পর্যন্ত। প্রকল্পের ২৭টির মধ্যে ২৫টি প্যাজের  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।



রাজাপুর ইউনিয়নের ২ কিলোমিটার এলাকা সংরক্ষণে মোট ৬টি প্যাকেজে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় মাত্র ১টি প্যাকেজে কাজ চলেছে। আরেকটি প্যাকেজেরর ঠিকাদার নদীর তীরের বাগানের মধ্যে একটি অস্থায়ী টিনের ঘর তোলার মধ্যেই কাজ সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এদিকে ঠিকাদারদের বøক নির্মাণ কাজে সহযোগিতার জন্য স্থানীয়রা কৃষি জমি অনাবাদী রেখেছেন। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু না করায় দুইদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। রাজাপুর ছাড়া পূর্ব ইলিশায় ৪টি ও ধনিয়া ইউনিয়নে ৩টি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে।
ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাবাসী জানান, বর্ষায় ব্লক নির্মাণের কাজ করা যাবে না তাই ক্ষয় ক্ষতি কমাতে বাকী ঠিকাদারদের কাজ এখনও শুরু করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন আরিফ জানান, ,মোবিলাইজেশন ( মালামাল আনা) চলছে। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যই কাজ শেষ করার সকল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।