অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে জোরপূর্বক বেড়ি বাঁধে পাকা করে দোকান ঘর উত্তোলনের চেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই জুন ২০২০ রাত ১০:০২

remove_red_eye

৯৪৫


জহিরুল ইসলাম,বোরহানগঞ্জ থেকে : ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনার বেড়িবাঁধ এলাকার নয়াব মিয়া বাজার সংলগ্ন মামুন মিয়ার মাছ ঘাট এলাকায় বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে রড, সিমেন্ট ও ইট দিয়ে স্থায়ী দোকান ঘর উত্তোলন করছেন মিজান । ওই কাজে বাধাঁ দেন ওই জমি’র প্রকৃত মালিক আ: হাই । এতে উভয় গ্রæপের  মধ্যে বাকবিতন্ড হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পক্ষিয়া ৫নং ওয়ার্ড বেড়িবাঁধের সাথে ব্লকের উপর থেকে রড, সিমেন্ট ও ইট দিয়ে পাইলিং করে ৩টি দোকান ঘর উত্তোলনের কাজ করছেন মো. মিজান পিতা আহম্মদ উল্ল্যাহ, মাহে আলম পিতা মুন মিয়া ও লোকমান পিতা হাবিবুল্লাহ। ওই স্থাপনা কাজে বাঁধা দেন বেড়ি’র দুই পাশের প্রকৃত মালিক আ: হাই।
আ: হাই’র ভাই সোবহান জানান, বেড়িবাঁধের ভিতর ও বাহির সাইটের জমি’র মালিক আমরা। কিন্তু জোর পূর্বক পেশি শক্তি দিয়ে দলবল নিয়ে ৭/৮ দিন পূর্বে  বেরি বাধের  উপর ইট, রট, সিমেন্ট ও বালু দিয়ে রাতের আধাঁরে পাইলিং করে স্থায়ী ভাবে দোকান ঘর উত্তোলন করতে চাচ্ছেন মিজান, মাহে আলম ও হাবিবুল্লাহ। তাদের বসত ঘর থাকার পরও বাণিজ্যিক ভাবে এখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার উদ্দেশ্য ঘর উত্তোলন করতে চায়। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের উপর চওড়া হয় ওরা। ওরা আমাদের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হুমকি দুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। যে কোন উপায়ে তারা এখানে দোকান ঘর উত্তোলন করবে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারে মো: মিজান তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দোকান উত্তোলন করছি না এখানে থাকার জন্য ঘর করছি। আমাদের এ কাজে বাধাঁ দিলে দিবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিন্তু ওনাদের কি?
এব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর এসও মো. হুমায়ন কবির জানান, বেড়িবাঁধ এলাকায় কেউ অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কেউ ঘর নির্মাণ করে থাকলে সরজমিনে তদন্ত করে ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।