অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে শিক্ষকের ইটভাটা জবর দখল করে নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২রা ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭

remove_red_eye

৫০৭

চরফ্যাশন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশনে সাবেক ছাত্রদলের সভাপতির সাথে আতাঁত করে কলেজ শিক্ষকের ইটের ভাটা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুন ও তার ভাই এনায়েতের বিরুদ্ধে। কলেজ শিক্ষকের নামে ইটের ভাটার মালিকানার বৈধ কাগজ পত্র থাকলেও গত কয়েকদিন আগে ওই শিক্ষক তার ভাটায় ইট কাটা শুরু করলে আওয়ামীলীগ নেতা ও তার ভাই তার শ্রমিকদের তুলে দিয়ে ওই এওয়াজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নিউ পদ্মা ব্রিকস তারা জবর দখল করে নেন। ব্যাংক লোনের মাধ্যমে গড়ে তোলা তার মালিকানাধীন ইটের ভাটা জবর দখল হওয়ায় দেনার দায়ে দিশেহারা হয়ে পরেছেন ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক।
এঘটনায় রোববার কলেজ শিক্ষক আলামিন মুনসি জেলা প্রশাসক ভোলাসহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ শিক্ষকের ইটভাটা দখল করে নিজেদের বলয়ে আবাদী জমির মাটি কেটে প্রস্তুত করছেন ইট। আবাদী জমির মাটি কাটায় বিপাকে পরেছে ওই এলাকার কৃষকরা। আবাদী জমির মাটি কাটায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভেঙে পরেছে কৃষককের ফসলী জমি।
শিক্ষক আলামিন মুনসি জানান, শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুনের কাছে থেকে ৩ একর জমি ৫ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে নিউ পদ্মা ব্রিসক নামের একটি ইট ভাট নির্মাণ করেন। ভাটা নির্মাণ শেষে তিনি ২০২২ সন থেকে জমির ভাড়ার চুক্তি পত্র অনুযায়ী নিজের নামের ইট পোড়ানোর বৈধ অনুমোদন নিয়ে তিনি ইট পোড়ানোর কাজ করছিলেন। চুক্তি পত্র অনুযায়ী ওই জমিতে নিজের ভাড়ায় মালিকানা থেকে তিনি চলতি মৌসুমে ইট কাটার মৌসুম শুরু হলে ইট কাটার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু জমির ভাড়ার চুক্তি পত্র অনুযায়ী ভাটার তার নামের বৈধ কাগজ পত্র ও তার মালিকানা থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুন ও তার ভাই এনায়েত ওই ভাটা থেকে সকল স্থাপনাসহ তাকে উচ্ছেদ করে দেন। এবং ওই ভাটা সংলগ্ন তার নিজের খরিদা জমি থেকে ইট প্রস্তুতের জন্য জোরপূর্বক তার জমি থেকে মাটি কেটে নেন তারা।এতে প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি। 
তিনি আরো জানান, তিনি ব্যাংক লোন নিয়ে ইটা ভাটা স্থাপন করেছেন। চলতি মৌসুমে তার ইট ভাটাটি জবর দখল হওয়ায় ব্যাংকের লোন পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন তিনি। তার চুক্তি পত্র অনুযায়ী তার ইট ভাটা ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই এনায়েত জানান, ওই ইট ভাটার মালিক এখন যুবদল নেতা রিয়াদ সিকদার। তিনি পূর্বের মালিকদের সাথে সমন্বয়য় করে ইটভাটার মালিক হয়েছেন।
সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি রিয়াদ সিকদার জানান, তিনি পূর্বের মালিক মালিকদের কাছ থেকে ভাড়ায় নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইট ভাটার মালিক হয়েছি। জবর দখলের বিষয় সঠিক নয়।