জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে
বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : "এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের এইচপিভি টিকাদান নিবন্ধন করতে সচেতন করার জন্য স্কুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ভোলার সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুলে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নারীদের মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে স্কুলপর্যায়ে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম।
এই টিকাদান কার্যক্রমে যেন প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি বা সমমানের ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে এই টিকা নিবন্ধন করে গ্রহন করে তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই স্কুল ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে।
এই টিকা নিতে হলে আগে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হবে।
নিবন্ধন করতে এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পেতে "
www.vaxepi.gov.bd" ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধনে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের সনদ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাণঘাতী জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ।
এই ক্যাম্পেইনে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০-১৪ বছর বয়সী স্কুল বহির্ভূত কিশোরীরা বিনামূল্যে এই টিকা পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের জন্য ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত নয় এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এই টিকা দেওয়া হবে ৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
১৪ নভেম্বর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী ক্যাম্পে ১৮ কর্মদিবস পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। সেখানে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভির টিকা দেওয়া হবে।
ভোলা পৌরসভার মধ্যে এই টিকা দেওয়া হবে ভোলা বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরব স্কুল, নলীনি দাশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।
ইউনিসেফ বরিশাল ফিল্ড অফিসের জোনাল হেলথ অফিসার ডাঃ মোঃ আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার এক ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সর প্রতিরোধ করে।এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত,নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। তাই কন্যা শিশুদের নিরাপদ রাখতে এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ অত্যান্ত কার্যকরী।তাই আগামী প্রজন্মের কন্যা শিশুদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হাত থেকে রক্ষা পেতে এই টিকা নেওয়া উচিত বলে জানান। এই টিকায় তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে ভোলায় এক লাখ ২১ হাজার ৫৮০ জন কিশোরীকে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। ভোলার সাত উপজেলায় ৫২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই টিকা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (গ্যাভি) সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
স্কুল ক্যাম্পেইনে সার্বিক সহযোগিতা করছে সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ ও মনপুরা মানব সেবা সংগঠন।
ঢাকা বিভাগ ব্যতীত সাত বিভাগে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়ে চলবে এক মাস পর্যন্ত।