অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৩শে মে ২০২৫ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ভোলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : জেলা প্রশাসক


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ই অক্টোবর ২০২৪ রাত ০৮:৫৫

remove_red_eye

২২২

                    আপদকালীন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা


এইচ আর সুমন : জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলছেন, দ্বীপ জেলা ভোলায়  দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে সকলের একসঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য। বিগত দিনের মত আগামীতেও যত বড় দুর্যোগই আসুক আমরা একসাথে মোকাবেলা করতে চাই। সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় এই জেলাকে প্রস্তুত করে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “আপদকালীন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোলা জেলা প্রশাসন ও  স্টার্ট বাংলাদেশ এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার উদ্ধোধন করেন ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জামান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল, ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়োর হেসেন।
এছাড়া এনজিও স্টার্ট বাংলাদেশের ডিআরএফ ম্যানেজার এনামুল হক, অফিসার আব্দুল্লাহ আল ওয়াসি, নিরাপদ সংস্থার পরিচালক হাসিনা আক্তার মিতা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের স্টপ দ্য স্টিগমা প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার নাসরিন নাহার, কোস্ট ট্রাস্ট টিম লিডার রাশিদা আক্তার, সমন্বয়কারী  ফজলুল হক, সুশীলন এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর রেখা ইয়াসমিন, চ্যানেল ২৪ জেলা প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের ২০ জন প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার ২১ জন ও গণমাধ্যমকর্মী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা দুর্যোগকালীন সময়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা, করণীয় এবং নানা প্রতিক‚লতার কথা তুলে ধরেন। ভোলা জেলা প্রশাসক  আজাদ জাহান  বলনে, ভোলা জেলার মানুষের দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে সব অংশীজনদের একসঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা এই যৌথ আপদকালীন কর্মপরিকল্পনা ২৭ টি অতি উচ্চ ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়নের ঝুঁকি হ্রাস করব এবং মানুষ ও গবাদিপশুর জীবন বাঁচাব। ভবিষ্যতে যত বড় দুর্যোগই আসুক আমরা একসাথে মোকাবেলা করতে চাই। ভোলাকে সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
 এছাড়াও, তিনি জেলার উন্নয়নে একক প্রচেষ্টার পরিবর্তে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের আহŸান জানান, যাতে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
এই কর্মশালার মাধ্যমে ভোলা জেলার জন্য প্রণীত যৌথ আপদকালীন পরিকল্পনাটি (কন্টিনজেন্সি প্ল্যান) ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবেলায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করবে।






আরও...