অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন ১৪৩১


গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে সহায়তা করবে জাতিসংঘ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬

remove_red_eye

৪৭

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনসহ প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

রোববার (সেপ্টেম্বর ২২) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সৌজন্য সাক্ষাতে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত বিষয়ে আলাপ করেন।

গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে সহায়তায় আগ্রহের কথা জানান এবং বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে অসাধারণ ভূমিকা  নেওয়ায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা ছিল গোটা জাতির জন্য এক অনন্য আন্দোলন। ড. ইউনূস বলেন, তার সরকারের প্রধান কাজ প্রত্যেকের জন্য একটা ভালো উদাহরণ স্থাপন করা।

তিনি বলেন, এটা দেশের অর্থনীতি এবং প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য বিরাট সুযোগ।

গোয়েন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার পুলিশের সংস্কারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, সরকার সারা দেশে সমন্বিত তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দেশে হয়রানি এবং দুর্নীতি হ্রাস করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। সুতরাং আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বিষয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইএলও আহত এবং মানসিক ট্রমাতে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বিষয়ে গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশের পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বন্যা পরবর্তী পুর্নবাসনে সহায়তা হিসেবে ৪ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে।

তিনি বলেন, বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেছে জাতিসংঘ।

দক্ষিণ এশিয়ায় আগাম বন্যা সতর্কতার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে আলাপ করেন।

তিন পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো যে সাহায্য কাজ করেছে, তার চিত্র তুলে ধরেন গোয়েন লুইস।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অধিকতর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জাতিসংঘের সহায়তা চান।