অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৪১


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ই মে ২০২০ দুপুর ০২:৫৫

remove_red_eye

১১৪৭

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও এক হাজার ৪১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৮৬৩ জনে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও সাত হাজার ৮৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় সাত হাজার ৩৯২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৫১ হাজার ৯৩০টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৩-এ।

নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের ১১ জন পুরুষ ও তিন জন নারী। নয় জন ঢাকার এবং পাঁচ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। বয়সের দিক থেকে একজন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী, একজন ত্রিশোর্ধ্ব, পাঁচজন চল্লিশোর্ধ্ব, পাঁচজন পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং দুজন সত্তরোর্ধ্ব।

বুলেটিনে নতুন করে সুস্থ কেউ হয়েছেন কি-না, সে তথ্য জানানো হয়নি। সে হিসেবে এ সংখ্যা তিন হাজার ৩৬১-ই থাকছে।

বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪৪ লাখ। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই। তবে প্রায় পৌনে ১৭ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।

অবশ্য প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মানুষকে ঘরে রাখার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদ এবং দোকানপাট-শপিংমলও।


করোনা



আরও...