অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


উত্তর কোরিয়ায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে জুলাই ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:১০

remove_red_eye

২২৪

উত্তর কোরিয়া বন্যা কবলিত অঞ্চলে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।
সরকারী বার্তা সংস্থা ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, নেতা কিম জং উন গত সপ্তাহে ‘ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষন’ করে ১০টি সামরিক হেলিকপ্টার এবং নৌবাহিনীর একটি লাইফবোটসহ পাইলটদের ‘একের পর এক’ জনের সঙ্গে করমর্দন করে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠান।
‘কেসিএনএ’ জানিয়েছে, কিম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে দেশটির প্রস্তুতি জোরদারের পুর্বের আদেশ সত্ত্বেও সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিপাতের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থতার জন্য কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছেন।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া কৃষিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব প্রশমিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য সংকট মোকাবেলা সভা পরিচালনা করে।
উত্তর কোরিয়া রেকর্ড-ব্রেকিং বর্ষণ মোকাবেলা করছে এবং জুলাই মাসে কায়েসোং শহরে একদিন নজিরবিহীন ৪৬৩ মিমি (১৮.২ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, এটি উত্তর কোরিয়ায় ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
দুর্বল অবকাঠামোর কারণে বিচ্ছিন্ন ও দরিদ্র উত্তর কোরিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বেশি থাকে। যেখানে বনভূমি উজাড় করায় দেশটিকে বন্যার ঝুঁকিতে ফেলেছে।
উত্তর কোরিয়া সীমান্তের কাছে একটি বাঁধ কেটে দিলে প্রবল বেগে বন্যার পানি দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করাতে গভীর উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ বন্যা প্রতিরোধে কাজ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী জুলাইয়ের প্রথম দিকে বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আন্তঃকোরীয় সীমান্তের কাছে হোয়াংগাং বাঁধ কেটে পানি ছেড়ে দিয়েছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থানে রয়েছে।
পিয়ংইয়ং ২০২০সালে সিউলের সাথে একতরফাভাবে সমস্ত সরকারী সামরিক এবং রাজনৈতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং সীমান্তের পাশে একটি অব্যবহৃত আন্ত-কোরিয়ান যোগাযোগ অফিস উড়িয়ে দেয়।





আরও...