অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


বোরহানউদ্দিনে টানা বৃষ্টিতে ১ হাজার ২শত হেক্টর রবিশষ্য ক্ষতিগ্রস্থ, দিশেহারা কৃষক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০শে এপ্রিল ২০২০ রাত ০৮:১১

remove_red_eye

৮৭৬

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি:: ভোলার বোরহানউদ্দিনে টানা সাত দিনের অসময়ের বৃষ্টিতে প্রায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর রবিশষ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে মুগ ডাল, ফেলন ডাল, মরিচ, বাদাম, ভুট্রা ও মৌসুমী সবজীর ক্ষতি সবচেয়ে বেশী। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে ক্ষতিগ্রস্থ ফসল কত শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা নিরুপন করা হচ্ছে। তবে কৃষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ ১০-১৫ শতাংশ ফসল টিকতে পারে। এতে ধার-দেনায় জর্জরিত ও বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হরলাল মধু ও অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদ হাসনাত খাঁন বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ খেত পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে উপজেলায় কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্থ শষ্যের মধ্যে ৪ শত ২০ হেক্টর মুগ ডাল, ২ শত ৩২ হেক্টর ফেলেন ডাল, ২ শত ১২ হেক্টর মরিচ, ২শত ২৮ হেক্টর চিনাবাদাম, ৬২ হেক্টর ভুট্রা, ১ হেক্টর সূর্যমুখী ও মৌসুমী সবজী ৫৭ হেক্টর। একই সূত্র জানায়, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সাথে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পেলে কিছু ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু আবহাওয়া এরকম থাকলে কৃষকরা ওই ফসল না পাবার সম্ভাবনাই বেশী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের আট নাম্বার ওয়ার্ডের চাষি মো. সিডু জানান, ১ শত ৬০ শতাংশ জমিতে আমি ডাল, মরিচ, বাদাম, ঢেঁড়শ চাষ করেছি। এখন সব পানিতে তলিয়ে আছে। কোন ফসল পাবার আশা নেই। ওই এলাকার চাষি আবু তাহের, পল্লব দে, কানুলাল দে একই কথা বললেন। ওই সময় আবু তাহেরকে ক্ষেত থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা যায়। ওই স্থানের ফসলের ক্ষেত ৪-৬ ইঞ্চি পানির নীচে নিমজ্জিত দেখা যায়। বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের আ. শহীদ জানান, ১ একর জমির মুগ ডাল এখন পানির নীচে। এছাড়া বাদাম খেতে অল্প-স্বল্প যা ফল এসেছে তা নষ্ট হয়ে গেছে। ওই এলাকার রেশাদ আলী,আনোয়ার হোসেন, নিরব মোল্লাকে খেতের পানি সড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কিছু করার থাকবেনা। এ মুহুূর্তে কৃষকদের ক্ষতি সর্ব-নিম্ম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে তারা সব রকমের চেষ্টা করছেন।