অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ২৬শে মার্চ ২০২৫ | ১২ই চৈত্র ১৪৩১


গানের প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি গায়ক, বিক্ষোভে উত্তাল সুইডেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ই মে ২০২৪ বিকাল ০৩:০১

remove_red_eye

১৭৫

এডেন গোলান নামক এক ইসরায়েলিকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় সুইডেনে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন হাজার হাজার মানুষ। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামেন। এই প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ।

থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালীন যদি হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানায়, তাহলে তা আয়োজকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে ও পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে।

প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন গ্রেটা থুনবার্গ/ ছবি: ডয়েচে ভেলে

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও কেফিয়াহ নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সেসময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন ও ফিলিস্তিনি পতাকার রংয়ের স্মোক ফ্লেম জ্বালান। প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন।

জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) রিহার্সাল করার সময় থেকেই দুয়োধ্বনি শুনে আসছিলেন গোলান। তবে তার বক্তব্য ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেছেন গোলান।

জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নামবদল করতে বলা হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গোলানকে শুভকামনা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন এই গায়ক।

ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এই বছরের (৬৮তম) প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।