অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ ১৪৩১


তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযানের পর ভোলায় জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা’র অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯শে মার্চ ২০২৪ রাত ১১:২৭

remove_red_eye

২৪৬

মলয় দে : ভোলায় জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম শুভ’র ভাড়া বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার ২৯ মার্চ সকালে মোস্তফা কামাল বাসস্ট‍্যান্ড সংলগ্ন তার বাসভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। তবে কে বা কাহারা এ হামলা করেছে তা এখনো সনাক্ত করা যায় নি। এ ঘটনায় ভাংচুর বা  হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটে নি। ভোলা সদর মডেল থানায় এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।পাশাপাশি এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করনের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম শুভ। অন্যদিকে তদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির মিয়া।
ভোলা সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম শুভ জানান,শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ’র নিদের্শনায় তার (মাহবুবুল আলম শুভ) এর নেতৃত্বে  সদর মডেল থানার পুলিশ ফোর্স নিয়ে ভেদুরিয়া থেকে ভেলুমিয়া এলাকার  তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় ৭টি অবৈধ পাইজাল, ২০ টি অবৈধ বেহুন্দি জাল, ১টি অবৈধ চরঘেরা মশারী জাল এবং ৩টি ফাইটার নৌকা জব্দ করা হয়।পরে অবৈধ জালগুলো ওই রাতেই ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং নৌকা মাঝির জিম্মায় রাখা হয়।
অভিযানের পর ওই ঘাটেই সেহেরি করে তিনি বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।তার কিছুক্ষন পর সে শুনতে পায় তার ঘড়ের দরজা কেউ জোরে জোরে আঘাত করছে।সে সময়  সে দরজার কাছে যায়। দরজার ওপাশে অস্বাভাবিকভাবে আঘাত করার নমুনায় সে  অনুমান করেন যে এরা সাধারণ কোনো লোক নয়।দরজার ওপাশ থেকে আবার কেউ কেউ বলছে এটাই তার বাড়ি,এখানেই সে থাকে।আবার কেউ কেউ গালিগালাজ করছে তার নাম ধরে।
এমন কথাবার্তা শুনে সে ঘাবরে গিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কে বিষয়টি মুঠোফোনে জানান।সেসময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাকে দরজা খুলতে নিষেধ করেন এবং পুলিশ যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।পরে জেলা কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানায় ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান।পুলিশ আসার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত দরজায় সজোরে আঘাত করতে থাকেন তারা এবং বারবার দরজা খোলার জন্য বলে।এমন পরিস্থিতিতে অচেনা একটা নাম্বার থেকে তার মুঠোফোনে বারবার কল আসছিল তবে সে ওই কল রিসিভ করেন নি।সে অনুমান করেছিলো হয়তো তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন তাকে কল করছে।
কিছু সময় পর জেলা মৎস‍্য কর্মকর্তা  পুলিশের এস.আই মামুনের নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস‍্যদের নিয়ে তার বাড়িতে যায়। ততক্ষনে দরজার ওপাশে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান,এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।কে বা কারা এমনটা করেছে সে জানে না।ওই ঘটনা সময় তার ফোনে যে নাম্বারটি থেকে বারবার কল এসেছিলো সে নাম্বারটি পুলিশ কে দেয়া হয়েছে।পুলিশ তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
এ  বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালম আজাদ জানান,শুক্রবার দিবাগত রাতের অভিযানে যাদের অবৈধ জাল পোড়ানো হয়েছে তারাই এমন জঘন্য কাজটি করেছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন,নদীতে এ অভিযান সরকারি আদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি কাজ কে বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে এমন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছি।আর এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির মিয়া জানান,এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। তদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।