অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ই মার্চ ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮

remove_red_eye

৫৭৬

পৃথিবীর যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান কম নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগাম মার্চ-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর যেকোন দেশের তুলনায় কম নয়। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যে মেধা আছে, তার অনেক প্রমাণ আছে। আমরা ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসে চিকিৎসা দিচ্ছি। রোগী যে বাইরে যাচ্ছে এমন নয়। ভারত থেকেও রোগী আসছে। হাঙ্গেরি থেকে যে চিকিৎসক দল জোড়া মাথা আলাদা করেছিল, সেই অপারেশন রোগীদের অ্যানেস্থাসিয়া সে দেশের চিকিৎসকরা দিতে পারেননি। তাদের অ্যানেস্থাসিয়া দিয়েছিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন, আজকে যারা ইনডাকশনে রেসিডেন্ট হিসেবে বসে আছেন, তারা আগামীর দিনে চিকিৎসক হিসেবে কাণ্ডারি। ডাক্তার ও রোগীদের ভালো সম্পর্ক অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। শুধু ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে না। একটি হাসপাতালে ভালো কাজ একজন পরিচালক থেকে শুরু করে একজন অধ্যাপক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মীর ওপর নির্ভর করে। এদের সবার ওপর একটি হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি নির্ভর করে।

নবীন চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা চিকিৎসকদের সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে পারব যে কোনো একদিন এই দেশের মানুষ চিকিৎসকদের দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নিচু করবে। এটি করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনতে হবে, ধৈর্য নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। এজন্য সময় মতো হাসপাতালে যাব, আসব। এদেশের সাধারণ মানুষ বেশি কিছু চায় না। তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে কথা বলা, সেবা দেয়া, কেমন আছেন জিজ্ঞেস করা এটুকুই চায়।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা উন্নতির যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সেটি আমাদের দিয়েই সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে, ঢাকায় সব কিছু না। আমরা চিকিৎসকদের ইনটেনসিভ দেব। আমাদের প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আমি বিশ্বাস করি যদি তাকে সঠিক তথ্য দিয়ে বোঝাতে পারি তবে তিনি চিকিৎসকদের সব কিছু করবেন। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দিয়েছেন। রমজান মাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে মিটিং করব। এটি যাতে সংসদে পাস হয় সেজন্য আমি চেষ্টা করব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।  

সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ প্রমুখ।

এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসক হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

 

সুত্র বাংলা নিউজ