অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাসনে সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫শে নভেম্বর ২০২৩ রাত ০৯:০০

remove_red_eye

২৪৯

ইসরাফিল নাঈম, শশীভূষণ : চরফ্যাশন-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা এনে ফেলা হয় সেখানে এতে আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এলাকাবাসী সহ সড়কের পথচারীরা পোহাচ্ছেন চরম দুর্ভোগ।
আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে ময়লার ভাগাড় অপসারণে পৌর মেয়রের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী ও পথচারীরা নাক-মুখ চেপে মহাসড়কের ময়লার অংশ অতিক্রম করছেন। ভাগাড়ে দৌড়ঝাঁপ করছে কুকুর আর কাক। এতে ময়লা এসে পড়ছে মহাসড়কেও। ময়লার স্তূপ পার করে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করছেন।
জানা যায়, চরফ্যাশন পৌর শহর বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। জনদুর্ভোগের বিষয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা পৌর মেয়রকে ময়লা অপসারণ ও ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য একাধিকবার বললে এ বিষয়ে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় ছাড়া কিংবা নিশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল একেবারে অসম্ভব। ময়লার স্তূপ প্রতিনিয়ত যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীরা নাক ঢেকে চলাচল করতে পারলেও এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে যারা বসবাস করেন তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। প্রচÐ দুর্গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
ওই পথ দিয়ে নিমমিত চলাচল করা মো.কবির হোসেন বলেন, বাস স্থান থেকে প্রতিদিন পত্রিকা নেওয়ার জন্য এই পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এখানে ময়লা ফেলায় পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কারও পক্ষে নিশ্বাস নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। আমি নাক বন্ধ করে দ্রæত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করি।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু বলেন, এই এলাকা এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। দুর্গন্ধে খুবই কষ্ট হয় আমাদের। ময়লার দুর্গন্ধে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। তাতেও গন্ধ যায় না। খুবই অসহায় লাগে। বৃষ্টির সময় ময়লাযুক্ত পানি রাস্তায় চলে আসে। ওই সময় আমাদের বাড়িঘরেও ময়লা প্রবেশ করে। তখন বাড়িতে থাকা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়।
ওই এলাকার দশম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী মারিয়া বলেন, নিয়মিত আমার এই রাস্তা দিয়ে স্কুল এবং প্রাইভেটে যাইতে হয় কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। মাঝে মধ্যে এই দুর্গন্ধের কারণে রাস্তা পাড় হয়ে স্কুলে যাইতে মন চায় না। এই ময়লা অন্য কোথাও নিয়ে ফালাইলে আমাদের স্কুল প্রাইভেটে যাইতে কোন সমস্যা হবে না।

পৌর মেয়র মোরশেদ মিয়া বলেন, শিগগিরই ডাম্পিং স্টেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ডাম্পিং করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরীন হক বলেন, ভোলার একমাত্র আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার কারণে মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। প্রধান সড়কের পাশে এভাবে ময়লা ফেলার কোনো সুযোগ নেই। পৌর মেয়রকে নিয়ে শিগগিরই ময়লা অপসারণ এবং ভবিষ্যতে শহরের বাজারের আবর্জনা যাতে সড়কের পাশে না ফেলতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।