অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লকডাউন ভেঙ্গে ট্রলার বোঝাই করে এখনো ভোলায় আসছে মানুষ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১শে মার্চ ২০২০ রাত ০৩:৫১

remove_red_eye

১১৮৮

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক:: ভোলায় জেলা ব্যাপী অঘোষিত লগডাউন চললেও ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে জাবেদের ট্রলারে যাত্রী পরিবহন ব্যবসা বন্ধ হয় নি। প্রতিদিন ৩টি ট্রলার যোগে জেলায় প্রবেশ করছে বহিরাগত কয়েকশ মানুষ। ফলে এসব মানুষদের প্রবেশ নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন, সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। প্রতিদিন ফিরছেন বিদেশ ফেরতরা। এদের চিহ্নিত করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, লঞ্চ, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ট্রলারে যাত্রী পরিবহনও নিষিদ্ধ রয়েছে। যারা এ কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইলিশা লঞ্চঘাটের ইজারাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক হোসেন শহীদ সরোয়ারদ্দি জানান,  লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটের জাবেদ মিয়া’র কয়েকটি ট্রলার যাত্রী নিয়ে ভোরে আসে। যাত্রী নামিয়ে দিয়েই ফের চলে যায়।ওই সময় তাদের কিছু করার থাকে না।

ইলিশা পুলিশ ফারির ইনচার্জ রতন কুমার জানান, ইলিশা লঞ্চঘাটে সব সময় পুলিশ থাকে। ওই সব ট্রলার লঞ্চঘাটে  না এসে পাশে ফারক বেপারী বা সাফিজল মেম্বারের মাছ ঘাটে  যাত্রী নামাতে  পারে। ওই সব ঘাটেও নজরদারী বাড়ানোর আশ্বাস দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

তবে স্থানীয়রা জানান, লঞ্চ , সি-ট্রাক বন্ধ থাকার সুযোগে জাবেদ মিয়া ট্রলারে একশ টাকা ভাড়ার স্থলে  যাত্রীপ্রতি ৪শ / ৫শ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে পারাপার করাচ্ছেন। প্রতিবারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করেন। ওই টাকা থেকে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীঘাট কোস্টগার্ড ক্যাম্প ম্যানেজের জন্য প্রতিট্রিপ ৫ হাজার টাকা, পুলিশ এক হাজার টাকা। ইলিশাঘাটে ইজারাদার এক হাজার টাকা, পুলিশ এক হাজার টাকা । জ্বালানী ব্যয় দুই হাজার টাকা। এমন সরল হিসেবেই চলছে ট্রলাওে যাত্রী পারাপার। ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে সিএন্ডজি, মাইক্রোবাস যোগে যাত্রীরা এসে এভাবেই ট্রলারে ভোলায় আসছে।

সিভিল সার্জন জানান, রোববার ও সোমবার দুই দিনে ২৫ জন বিদেশ ফেরতদের চিহ্নিত করে হোম-কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪২৫ জন হোম-কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। আইসোলেশনে রয়েছেন একজন।  নতুন লোক এলাকায় এলেই হৈচৈ পড়ে যায়। ঝামেলা হয়। ছুটে যায় পুলিশ, ছুটেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এভাবে এলাকায় নতুন লোকজন প্রবেশ বন্ধ করারও দাবি জানান তিনি।