অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


সত্যবাদিতা জান্নাতে নিয়ে যায়, মিথ্যা জাহান্নামে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ই অক্টোবর ২০২৩ বিকাল ০৩:০৮

remove_red_eye

২৬৮

আবু বকর (রা.) রাসুলের (সা.) শ্রেষ্ঠ সাহাবি। ইসলামের একেবারে প্রাথমিক যুগে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি একজন। পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নবিজির সবচেয়ে প্রিয় ও বিশ্বস্ত বন্ধু ও সহচর ছিলেন। মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময় নবিজি (সা.) সঙ্গী হিসেবে তাকেই বেছে নিয়েছিলেন। নবিজির (সা.) প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য নবিজি (সা.) তাকে “সিদ্দিক” বা বিশ্বস্ত উপাধি দিয়েছিলেন।

আবু বকর (রা.) ইসলামের প্রথম খলিফা। রাসুল (সা.) ইনতিকালের আগে তাকে নামাজের ইমামতির দায়িত্ব দেন, রাসুলের ইনতিকালের পর (সা.) মুসলমানরা তাকেই নেতা মনোনীত করে।

ওসাত ইবনে ইসমাঈল বাজালি (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সা.) ইনতিকালের পর একদিন আবু বকর (রা.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেন, গত বছর আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার এই জায়গা দাঁড়ালেন, বলতে বলতে আবু বকর (রা.) কেঁদে ফেললেন, তারপর বললেন,

‏ عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّهُ مَعَ الْبِرِّ وَهُمَا فِي الْجَنَّةِ وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّهُ مَعَ الْفُجُورِ وَهُمَا فِي النَّارِ وَسَلُوا اللَّهَ الْمُعَافَاةَ فَإِنَّهُ لَمْ يُؤْتَ أَحَدٌ بَعْدَ الْيَقِينِ خَيْرًا مِنَ الْمُعَافَاةِ وَلاَ تَحَاسَدُوا وَلاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَقَاطَعُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا

তোমরা সত্যবাদিতা অবলম্বন করো। কারণ তা পুণ্যের সঙ্গী এবং এ দুটির অবস্থান জান্নাতে। তোমরা অবশ্যই মিথ্যা পরিহার করো। কারণ তা পাপাচারের সঙ্গী এবং এ দুটির অবস্থান জাহান্নামে। আল্লাহর কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। ঈমানের পর কাউকে সুস্থতা ও নিরাপত্তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করা হয়নি। একে অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ভাই ভাই হয়ে যাও। (সুনানে ইবনে মাজা, মুসনাদে আহমদ)

অনেক বর্ণনায় এটিকে রাসুলের (সা.) খুতবা বা বক্তব্য বলা হয়েছে। হতে পারে এটি মূলত রাসুলের (সা.) বক্তব্য, আবু বকর তার কথাগুলোই বর্ণনা করেছেন। এই বর্ণনা থেকেও সেরকম ধারণা হয়। কিন্তু যেহেতু এ বর্ণনা অনুযায়ী তিনি স্পষ্ট করে রাসুলের (সা.) কথা বলেননি, তাই আমরা এটিকে আবু বকরের (রা.) খুতবা হিসেবে উল্লেখ করলাম।

সুত্র জাগো