অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশনের মেঘনায় একবার জাল ফেলেই ধরা পড়লো ৪০ হালি ইলিশ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ০৮:৫৩

remove_red_eye

১৫২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশনের ঢালচরের কাছে দক্ষিণ পাশে মেঘনা নদীতে একটি মাছ ধরার ছোট নৌকায় জেলেরা একবার জাল ফেলেই তাদের জালে ধরা পড়েছে ৪০ হালি ইলিশ মাছ। শুক্রবার জেলার চরফ্যাশন উপজেলার পূর্ব ঢালচর সাইফুল মাঝির নৌকায় এই মাছ ধরা পড়ে। এ বছর প্রথম বার সাইফুল মাঝি এক সাথে এতো মাছ পেয়েছেন। এতো মাছ পেয়ে শুধু সাইফুল মাঝেই নয়,তার নৌকায় থাকা বাকী পাঁচ জেলেও খুশি।মাছগুলো তারা ঘাটে এনে ডাকে (নিলামে) ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
পূর্ব ঢালচর মাছঘাটের আড়ৎদার মো. আরিফুর রহমান রাসেল সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার ভোর রাতে তাদের ঘাট থেকে সাইফুল মাঝিসহ ছয় জেলে ছোট একটি নৌকা নিয়ে ঢালচরের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। জাল ফেলার কিছুক্ষণ পর জাল টানাতে গিয়ে দেখতে পান তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ওঠছে। তারা দ্রæত জালসহ মাছগুলো টেনে ঘাটে ফিরে আসেন। ঘাটে এসে দেখেন তাদের জালে মোট ছোট বড় ৪০ হালি ইলিশ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মধ্যে ৩৬ হালি জাটকা বিক্রি করেছেন ১০ হাজার ৮০০টাকা, একটা বেলকা সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছেন ৩২৫টাকা,৭টি গোটলা সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছেন এক হাজার ১৩৭টাকা, ,এক হালি বড় ইলিশ বিক্রি করেছেন দুই হাজার ২৫০টাকা ও তিনটা গ্রেট এবং দুইটা বিট সাইজের ইলিশ ডাকে বিক্রি করেছেন ছয় হাজার ৪০০টাকা । 
সাইফুল মাঝি জানান, তারা এ বছর নদীতে মাছ তেমন একটা নেই। প্রতিবারেই নদীতে গিয়ে লোকশানে পড়তে হয়। কিন্তু শুক্রবার জাল ফেলার কিছুক্ষণ পর জাল টানতেই তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে। এতে তারা সবাই খুশি হয়। মাছ বিক্রি করে সবাই লাভবান হয়েছেন।
 ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, নদীতে ইলিশের সরবারহ বেড়েছে। আর ইলিশের একটা বৈশিষ্ট হলো ঝাঁকে ঝাঁকে চলাচল করা। এ ঝাঁকের মধ্যে কোনো জেলে জাল ফেললে তাদের জালে পুরো ঝাঁর মাছই জালে আটকা পড়ে।