অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ঘরের মাঠে ফিরে পিএসজিকে বড় জয় উপহার দিলেন এমবাপ্পে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৪২

remove_red_eye

১২৮

নতুন মৌসুমে প্রথমবারের মত ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে মূল দলে ফিরেই জোড়া গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি এই তারকার নৈপুন্যে গত মৌসুমের রানার্স-আপ লেন্সকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে পিএসজি। 
এবারের লিগে প্রথম দুই ম্যাচে জয়হীন ছিল এই দুই দল। কাল তাই বিশেষ করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া ছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। এই জয়ে শীর্ষে থাকা মোনাকোর থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে পিএসজি। 
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আজ পুরো দল যেভাবে খেলেছে আমি সবসময়ই চাই তারা এভাবেই খেলুক। কিন্তু ফুটবলে সবসময়ই বিস্ময় অপেক্ষা করে। আজকের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ছন্দ ছিল। আমার খেলোয়াড়রা ছিল দারুন সাহসী। লেন্সের মত দলের বিপক্ষে আমরা দারুনভাবে প্রতিরোধও গড়ে তুলেছি। একইসাথে বেশ কিছু সুযোগও তৈরী করেছি।’
ট্রান্সফার সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে পিএসজিতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেবার পর প্রথমবারের মত কাল ঘরের মাঠে মূল দলে খেলতে নেমেছিলেন এমবাপ্পে। ভবিষ্যত নিশ্চিত করার একটি ছাপ তার পারফরমেন্সে ফুটে উঠেছিল। প্রথমার্ধে তার একটি শট রুখে দেন লেন্স গোলরক্ষক ব্রিস সাম্বা। আরো একটি শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করেন লেন্সের অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন ডানসো। ৪৪ মিনিটে মার্কো আসেনসিও গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে আসেনসিওর এটাই প্রথম গোল। পিএসজির পর্তুগীজ মিডফিল্ডার ভিটিনহা ওয়ারেন জাইরে-এমেরির দিকে বল বাড়িয়ে দেন। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জাইরে-এমেরির পাসে আসেনসিও বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় পিএসজি। স্প্যানিশ এই তারকার বাম পায়ের কার্লিং শট ধরার সাধ্য ছিলনা সাম্বার। 
৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এমবাপ্পে। লুকাস হার্নান্দেজের সাথে বল আদান প্রদান করে প্রথম শটেই তিনি সাম্বাকে পরাস্ত করেন। এরপর এমবাপ্পের আরো একটি শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন সাম্বা। কাউন্টার এ্যাটাক থেকে বদলী খেলোয়াড় এলিয়ে ওয়াহি রক্ষনভাগকে ফাঁকি দিয়ে শট নিলেও সে যাত্রা পিএসজিকে রক্ষা করেন গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে আসার পর প্রথমবারের মত মূল দলে খেলতে নামা ওসমানে ডেম্বেলে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ৯০ মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থেকে এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির। তিন গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির রক্ষনভাগ কিছুটা নির্ভার হয়ে খেলতে থাকে। কিন্তু এই সুযোগে ইনজুরি টাইমে ওয়াহির আরো একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন ডোনারুমা। তবে শেষ মূহূর্তে মরগান গুইলাভোগুইয়ের শেষ শটটি মিলান স্ক্রিনিয়ারের সাথে ডিফ্লেক্ট হয়ে জালে জড়ালে সান্তনার এক গোল পায় লেন্স। 
লেন্স কোচ ফ্রাংক হেইস বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেকটাই স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পেয়েছি। সবকিছুই অনেক দ্রুত হয়ে গেছে। যদিও আমরা ম্যাচ ছেড়ে দেইনি। কিন্তু দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা বেশ বড় ছিল।’
এর আগে ব্রেস্টকে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে পরাজিত করে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মার্সেই। এ মাসের শুরুতে গ্রীক ক্লাব প্যানাথিয়ানকোসের কাছে বাছাইপর্বে তৃতীয় রাউন্ডে পরাজিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে মার্সেইর। এ সপ্তাহে তারা নিজেদের জয়ের ধারায় ফিরিয়ে আনতে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে, যা তাদের পারফরমেন্সে যথাযথভাবেই ফুটে উঠেছিল। ম্যাচের তিন মিনিটে জর্ডান ভেরেটুটের নিখুঁত ক্রসে চাঞ্চেল এমবেম্বা গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। দুই জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করা ব্রেস্ট প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আধিপত্য দেখিয়েছে। কিন্তু গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। 
মার্সেই কোচ মার্সেলিনো বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা ঠিকমত নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পারনি। আমরা অনেক বেশী বলের পজিশন হারিয়েছি, ব্রেস্ট আমাদের থেকে ভাল খেলেছে।’
বদলী বেঞ্চ থেকে পর্তুগীজ এ্যাটাকার ভিটিনিহাকে ৬৫ মিনিটে মাঠে নামারো সুফল পেয়েছেন মার্সেই। ঐ মুহূর্তে রেনান লোদির ক্রস থেকে ওয়াটফোর্ড থেকে গ্রীষ্মে দলে আসা ইসমাইলা সার গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ভিটিনিহা ভেরেটুট ও পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংকে দুটি দারুন বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি।
মার্সেলিনো বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল খেলেছি। দ্বিতীয় গোলের পর মার্সেই নিজেদের আরো বেশী করে প্রমান করেছে। পুরো ম্যাচে যদি দল খারাপ খেলতো তবে সেটা অবশ্যই দু:শ্চিন্তায় বিষয় হতো।

সুত্র বাসস