অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


স্ট্রোকের কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত যাবেন ডাক্তারের কাছে?


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১শে আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৫২

remove_red_eye

২৭৬

স্ট্রোক একটি গুরুতর সমস্যা। এটি তখনই ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয় ও অক্সিজেন পৌঁছায় না মস্তিষ্কে। বর্তমানে স্ট্রোক মহামারি আকারে পৌঁছেছে।

গবেষণা বলছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সী চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে অন্তত একজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে। এক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬.৭ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে।

স্ট্রোকের তীব্রতা মস্তিষ্কের ক্ষতির পরিমাণ ওঅবস্থানের উপর নির্ভর করে ন্যূনতম থেকে বিপর্যয়কর হতে পারে বলে মত ভারতের নিউ দিল্লির আকাশ হেলথকেয়ারের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডিরেক্টর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অমিত শ্রীবাস্তব।

স্ট্রোকের লক্ষণ কী?

ডা. অমিত শ্রীবাস্তবের মতে, ‘হঠাৎ করেই আপনি যদি শারীরিক কিছু সমস্যা অনুভব করেন তাহলে তা নোট করুন ও সময়মতো চিকিত্সা গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন স্ট্রোক সম্পর্কিত লক্ষণ দেখলেই দ্রুত পদক্ষেপ নিলে রোগীর জীবন বাঁচতে পারে। তার আগে জানতে হবে এর লক্ষণ কী কী।’

১. বিভ্রান্তি ও কথা বলতে সমস্যা- আপনি বিভ্রান্তি অনুভব করতে পারেন, অন্যরা কী বলছে তা বলতে বা বুঝতে সমস্যা হতে পারে।

২. মুখ, বাহু বা পায়ের দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত- স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে মুখ, বাহু বা পায়ে পক্ষাঘাত বা হঠাৎ অসাড়তা দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত শরীরের একপাশে দেখা যায়।

এমনটি দেখলে চেষ্টা করুন উভয় হাত তুলে ধরার। যদি একটি হাত পড়ে যায়, তাহলে আপনি স্ট্রোকের সম্মুখীন হতে পারেন। এছাড়া মুখের একপাশ বেঁকে যেতে পারে।

৩. এক বা উভয় চোখে ঝাপসা দৃষ্টি- হঠাৎ চোখে সমস্যা হতে পারে ও এক বা উভয় চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। এমনকি ডাবল ভিশনের সমস্যাও হতে পারে।

৪. হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানো- হাঁটার সময় যদি ভারসাম্য হারাতে বসেন বা হোঁচট খান কিংবা মাথা ঘোরা অনুভব করেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

আপনি যদি স্ট্রোকের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ লক্ষ্য করেন তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

এমনকি যদি উপসর্গগুলো আর দেখা না দেয় তবুও সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। ডা. শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘‘ফাস্ট’ বা দ্রুত চিন্তা করুন ও নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিন’-

এফ ফর ফেস বা মুখ- হাসুন ও দেখুন মুখের একপাশ ঝুলে আছে কি না।

এ ফর আর্মস বা বাহু- বাহু তোলার চেষ্টা করুন। উভয় বাহু তুলতে সমস্যা হচ্ছে কি না পরীক্ষা করুন।

এস ফর স্পিচ বা বক্তৃতা- একটি সহজ বাক্যাংশ বলার চেষ্টা করুন। দেখুন বক্তৃতা অস্পষ্ট বা অস্পষ্ট কি না।

টি ফর টাইম বা সময়- আপনি যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনটি দেখতে পান তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিলে প্রাণ ও পঙ্গুত্ব দুটোই বাঁচাতে পারবেন।

সুত্র জাগো