অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লিলির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ই আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৫৪

remove_red_eye

২০৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে উপজেলার এক আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন, যিনি সাত বছর আগে হঠাৎ অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
আজ সকালে এখানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের বাড়ি হস্তান্তর করার সময়ে লিলি বেগম নামের ওই অন্ধ মহিলা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার করুণ কাহিনী বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেড়া উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হন।
আধা পাকা বাড়িসহ দুই ডিসিমাল জমির মালিকানার দলিল পাওয়ার পর এক আলাপচারিতায় লিলি জানান, সাত বছর আগে তিনি হঠাৎ অন্ধ হয়ে যান এবং তার স্বামী সাত মাস বয়সী ছেলেসহ তাকে ছেড়ে চলে যান।
প্রধানমন্ত্রীকে লিলি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি এখন আমার ছেলের সাথে বসবাস করছি। আমার চিকিৎসার জন্য আমার বাবা সব বিক্রি করে দিয়েছেন।’
লিলি জানান, তিনি ও তার পরিবার অন্যের বাড়িতে থাকতেন।
 দেশের প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য জমি ও বাড়ি দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন,‘ আমি কখনই ভাবিনি যে আমাদের নিজস্ব বাড়ি হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) আমাকে বিদ্যুৎ, পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ আমার স্বপ্নের পাকা বাড়ি দিয়েছেন। আপনি ছাড়া কেউ এটি আমাদের দেবে না।’ 
লিলি বলেন, ‘আমি আমার সন্তান এবং পিতামাতার সাথে এখন আপনার দেওয়া ঘরে বাস করছি এবং আমরা খুব খুশি, আমাদের এখন কোন অসুবিধা নেই।’
তিনি বলেন, তার ছেলে এই বাড়িটিকে তার মায়ের বাড়ি বলে ডাকে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করেছেন, আপনি আমাদের গর্ব। আপনি শত বছর বেঁচে থাকুন এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বারবার আমাদের কাছে ফিরে আসুন।’
তিনি স্মরণ করে বলেন, তার ছেলের বয়স যখন সাত মাস তখন তিনি দৃষ্টি হারান। তার ছেলের বয়স এখন আট বছর এবং সে স্কুলে যাচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন, আপনার চোখের চিকিৎসা কোথায় নিয়েছেন?
উত্তরে লিলি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে চোখের শেষ চিকিৎসা নেয়ার কথা বলেন।
লিলি বলেন, ‘কিন্তু করোনভাইরাস মহামারী, আর্থিক সংকট এবং আমার হাঁটুর জয়েন্টে অর্থোপেডিক সমস্যার কারণে আমি আর চিকিৎ্সা নিতে পারিনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় চক্ষুবিদ্যা ইনস্টিটিউটের চিকিৎসককে দেখালে ভালো হতো।’
এ সময় পাবনার জেলা প্রশাসক এম আসাদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিস্মিত লিলি বেগম তার বাবা-মায়ের মতো তার চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী লিলি বেগমকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা আপনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। আমরা চেষ্টা করব।

সুত্র বাসস