অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


গুরবাজ-ইব্রাহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৩১ রান


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ই জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৫৯

remove_red_eye

২১৭

দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩১ রান করেছে সফরকারী আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান আফগানদের। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড ২৫৬ রান করেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। এটি আফগানদের পক্ষে যেকোন উইকেট জুটিতেও রেকর্ড। গুরবাজ ১৪৫ ও ইব্রাহিম ১০০ রান করেন। 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আজ  টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই রানের প্রতি মনোযোগী ছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম। ৮ ওভারেই দলের রান পঞ্চাশ পার করেন তারা। সাকিবের করা ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পুরন করেন  গুরবাজ। এজন্য ৪৮ বল খেলেন তিনি। ১৫ ওভার শেষে  আফগানদের রান ১শ স্পর্শ করে। 
২২তম ওভারের প্রথম বলে ১৪২ রান স্পর্শ করে  আফগানিস্তানের পক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। ঐ ওভারেই সফরকারীদের স্কোর দেড়শ স্পর্শ করে। ২৮তম ওভারে  ওয়ানডে ক্যারিয়ারে  চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলেন ১০০ বল খেলা গুরবাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের হওয়া দু’টি সেঞ্চুরিরই মালিক হন গুরবাজ। গেল বছরের সিরিজে চট্টগ্রামে অপরাজিত ১০৬ রান করেছিলেন তিনি। 
গুরবাজ যখন সেঞ্চুরি করেন তখন অন্যপ্রান্তে ৪৬ রানে ছিলেন ইব্রাহিম। পরের ওভারে ওয়ানডেতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। ৩২তম ওভারে আফগানিস্তানের ২শতে নেন গুরবাজ ও জাদরান। 
৩৭তম ওভারে দলীয় ২৫৬ রানে গুরবাজকে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। নিজের অষ্টম ওভারে গুরবাজকে লেগ বিফোর আউট করেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে  ১৩টি চার ও ৮টি ছক্কায় ক্যারিয়ার  সেরা ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন  গুরবাজ। আফগানিস্তানের পক্ষে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন গুরবাজ-ইব্রাহিম। 
গুরবাজকে শিকার করে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটে ৪শ উইকেট পূর্ণ করেন সাকিব। 
এরপর পরপর দুই ওভারে রহমত শাহকে এবাদত হোসেন এবং অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে থামান মেহেদি হাসান মিরাজ। রহমত-শাহিদি ২ করে রান করেন। 
দলীয় রান ৩শ পার করার আগে আরও ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ১০ রানে শিকার করেন মিরাজ। ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে  ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম ম্যাচে  চতুর্থ সেঞ্চুরি পুরন করেন ইব্রাহিম। এজন্য ১১৭ বল খেলেন তিনি। গুরবাজের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় হন ইব্রাহিম। ঐ ওভারের তৃতীয় বলে মুস্তাফিজের শিকার হন ১১৯ বল খেলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০০ রান করা ইব্রাহিম। 
দলীয় ২৯৯ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ইব্রাহিম ফেরার পর আফগানিস্তানের লোয়ার-অর্ডার ব্যাটারদের দ্রুত রান তুলতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ ৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৭ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। ১৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নবি। বাংলাদেশের মুস্তাফিজ-হাসান-সাকিব-মিরাজ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট শিকার করেন এবাদত।

সুত্র বাসস