অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় মহিষ ও মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হবে: জেলা প্রশাসক


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা মার্চ ২০২০ ভোর ০৪:১৯

remove_red_eye

৫১৪


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, ভোলার মানুষ কৃষি, পশু ও মৎস্যজীবি। তাই ভোলায় এসব সম্পদ রক্ষায় ভোলায় পশু প্রজনন কেন্দ্র ও মৎস্য প্রশিক্ষন সেন্টার স্থাপন করে গরু মহিষ ও মৎস্য খামারীদের এগিয়ে নিতে হবে।
গতকাল তিনি গ্রামীন জনউন্নয় সংস্থার উদ্যোগে “সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)” প্রকল্পের আওতায় ÒEnvironmentally Sustainable and Climate Resilient Buffalo Production in Costal Area of Bhola District”” শীর্ষক প্রকল্প অবহিতকরন সভা জেলা প্রশাসক সম্মেলণ কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক, ভোলা মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, প্রধান অথিতির বক্তব্যে আরো বলেন, ভোলার চরাঞ্চলে মহিষ পালনে সহযোগীতা করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। ভোলার মহিষ চাষি ও খামারীদেরকে লোন দিয়ে সাবলম্বি করার চেয়ে তাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগীতা করতে হবে। তিনি বলেন ভোলার চর অঞ্চলগুলো জেলা প্রশাসনের বেশির ভাগ জমি রয়েছে। ভোলার ৭০টি চরে সরকারী জমিসমূহ অনেকে লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন কিন্তু সেগুলোর শ্রেনী পরিবর্তন বা মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে না। তিনি মহিষ পালনকারীদের জন্য চরাঅঞ্চলে মাটির কেল্লা নির্মান, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা এবং মহিষের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন ভোলার চরাঞ্চল গুলোতে ১,২৪,০০০ মহিষ রয়েছে। এগুলো যাতে অবাধে বিচরণ করতে পারে সেজন্য চরাঞ্চলগুলোতে গো মহিষের খাদ্যের বনায়ন করা সহ বেক্সিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে নেব।
জেজেইউএস পরিচালক হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় শাখার উপ-পরিচালক মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আতাহার মিয়া, অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট মামুন আল ফারুক ও জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রোজিৎ মন্ডল।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিজেইউএস উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন জিজেইউএস অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিজেইউএস পরিচালক (মানব সম্পদ) আজাদ রহমান ও জিজেইউএস এর পরিচালক মোঃ আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে মহিষ চাষি ও খামারী কাঞ্চন, সুজন, জামাল হাওলাদার, মোঃ ফিরোজ, ইউনুছ সনি, তাদের বক্তব্যে বলেন, মহিষ পালনে চরঅঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন যোরদারদের মোটা অংকের চাঁদা টাকা দিতে হয় এবং বন বিভাগের লোক জনের বাধার কারনে তারা মহিষ বিচরণ করতে পারছেন না। বিশেষ করে মহিষের খাবার এবং রাখার জন্য মাটির কেল্লা ও বেক্সিন ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।