অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


বারডেম হাসপাতালের পরিচালকের রুম থেকে লালমোহনের মোবারকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০২:৫৮

remove_red_eye

৫৯৯


মো: জসিম জনি, লালমোহন : রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইলের ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষ থেকে ভোলার লালমোহনের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম মোবারক হোসেন (৩৩)। পেশায় একজন তিনি ফার্মাসিস্ট এবং বারডেম-২ হাসপাতালের এনেস্থেশিয়া বিভাগে কাজ করতেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  নিহতের পরিবার বলছে, পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে শত্রæতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলছে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের পরিচালক জামান ও মামুন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিহত মোবারক পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট। পরিচালকের কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সঠিক কারণ জানা যাবে। ওই ব্যক্তির ডান পায়ে ও বাম পায়ে ইনজুরি রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে নিহত মোবারকের বড় ভাই মো. রুহুল আমিন বলেন, এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যের কিছু নেই। তাকে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার ভাই হাসপাতালটির পরিচালকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা পেত। কিন্তু সে চেক দিলেও টাকাটা দিচ্ছিল না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছিল। সে কয়েক দফায় হুমকি-ধমকিও দিয়েছে। সর্বশেষ অফিসে ডেকে নিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
নিহতের শ্যালক মাইনুল ইসলাম জানান, সর্বশেষ কথা বলার সময় তিনি অল্প কথা বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এটি হত্যাকাÐ। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
নিহতের স্বজন নাহিদ হোসেন জানান, বর্তমান দক্ষিণ দনিয়ার এ কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন মোবারক। ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। ওই গ্রামের নুরুল ইসলাম বেপারীর ছোট ছেলে মো.মোবারক। তিনি সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। এখনও বিয়ের ‘রিসিপশন’ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, তিনি একটি মেডিকেলে চাকরি করতেন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের তিন তলায় এক পরিচালকের কক্ষে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে। যেই হাসপাতালে মোবারক গিয়েছিলেন, সেখানকার পরিচালক তার পূর্বপরিচিত বলে মনে হয়েছে। এখানে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকতে পারে। পুরো ঘটনা তদন্তে বেড়িয়ে আসবে।