অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলার গঙ্গাকীর্তি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পাশেই ডোবা : ঝুঁকিতে শিশুরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০৩:৫৮

remove_red_eye

৫৪৮


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : স্কুলের সামনে সামান্য একচিলতে খোলা জায়গায় শিশু কিশোররা ছুটাছুটি করছে। ওটুকুই তাদের মাঠ। ওখানেই তারা পিটি প্যারেট করে। করে দৈনিক সমাবেশ। খেলাধুলাও সেখানেই ! অথচ স্কুলের দেয়াল ঘেসেই বড় একটি ডোবা অকেজো পড়ে আছে। ওখানেই খেলার পাঠ হবার কথা। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে ডোবাটি হচ্ছে না ভরাট। শিশুরা পাচ্ছে না তাদের খেলার মাঠ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি ডোবাটি ভারাটের জন্য চেষ্টা করছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলছে। বরাদ্দ পেলেই ডোবাটি ভরাট করে লেখার মাঠ করা হবে। সেই সাথে নির্মান করা হবে বাউন্ডারি ওয়াল।
প্রায় শতবর্শ আগে ১৯২৩ সালে ভোলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মল্লিকা বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরকে ভর্তি করা হত এই বিদ্যালয়। স্বাধীনতা উত্তর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারি করেন। ওই সময় ৪৫ নং গঙ্গাকীর্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। কালের বিবর্তনে ১৯ মূল বিদ্যালয় ভবনটি মেঘনার গ্রাসে বিলীন হয়ে গেলে ধনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান নাছির মাঝি এলাকার  জনৈক আব্দুর রব নিজ বাড়ির দরজায় ৫০ শতাংশ দান করেন। ওই জমিতে বিদ্যালয় ভবনটি পূণস্থাপন করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের দখলে ২৬ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মাঝে ১৫ শতাংশই হচ্ছে ওই ডোবাটি। বিদ্যালয় ভবনের পাশেই ডোবা থাকায় শিশুরা ঝুকিতে রয়েছে। অনেক সময় খেলতে গিয়ে শিশুদের বল পানিতে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ওই ডোবাটি পানিতে কানায় কানায় ভরে যায়।  তখন আরও ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে কোন সময় পানি বড়ে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঝুকি এড়ানোর জন্য ডোবার পাশে টিনের বেড়া দিয়েছেন। যাতে শিশুরা গিয়ে পানিতে না পড়ে। তবে এলাকাবাসীর দাবি অতি দ্রæত যেন ডোবাটি ভরাট করে বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য একটি খেলার মাঠ তৈরি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাকির হোসেন জানান, ডোবাটি ভরাটের জন্য তারা চেষ্টা করছেন এবং তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে দাবি জানাবেন।