অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


শচীন টেন্ডুলকারের জন্ম


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৫:৪০

remove_red_eye

৪১৮

শচীন টেন্ডুলকার একজন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চমানের ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শচীনের মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় এবং এরপর থেকে প্রায় চব্বিশ বছর তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেন।

শচীন টেন্ডুলকার নামে বিশ্বে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল নির্মল নার্সিং হোমে শচীনের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রমেশ টেন্ডুলকার একজন মারাঠি ঔপন্যাসিক ছিলেন। তার মা রজনী টেন্ডুলকার বীমা কোম্পানিতে কাজ করতেন। রমেশ বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার শচীন দেববর্মণের নামানুসারে তার নাম শচীন রাখেন।

ছোটবেলায় শচীন জন ম্যাকেনরোকে আদর্শ করে টেনিস খেলার প্রতি আকৃষ্ট হলেও তার দাদা অজিত ১৯৮৪ সালে তাকে দাদরের শিবাজী পার্ক অঞ্চলে বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচরেকরের কাছে নিয়ে যান। আচরেকরের নির্দেশে দাদরের শচীনকে শারদাশ্রম বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় এবং আচরেকর তাকে ক্রিকেটে শিক্ষাদান শুরু করেন।

টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সর্বোচ্চসংখ্যক শতকের অধিকারীসহ বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড ধারণ করে আছেন। তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ও টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ মিলিয়ে শততম শতক করেন।

শচীন ১৯৯৭-১৯৯৮ সালের জন্য ভারতের খেলাধুলার সর্বোচ্চ পুরস্কার রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার এবং ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়। ২০১০ সালে আইসিসির পক্ষ থেকে শচীনকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি প্রদান করে। ২০১২ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। শচীন প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড়, যাকে ভারতীয় বিমানবাহিনী মর্যাদাসূচক ক্যাপ্টেন পদ প্রদান করে।

২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুম্বই শহরের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০তম টেস্ট ম্যাচ জয়লাভ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই ভারত সরকার শচীনকে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার ভারতরত্ন প্রদান করে।

সুত্র জাগো