অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


বৃষ্টির জন্য নবিজি (সা.) যে দোয়া করেছিলেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৫:৩৪

remove_red_eye

৪৭৭

বৃষ্টির জন্য নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সে দোয়াটি কী?

হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন একদিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কতিপয় লোক (বৃষ্টি না হওয়ায়) ক্রন্দনরত অবস্থায় এলে তিনি দোয়া করলেন-

اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا مَرِيعاً نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিয়ান মারিআন নাফিআন গাইরা দাররিন আঝেলান গাইরা আঝেলিন।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।’

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)।’ (আবু দাউদ ১১৬৯, ইবনু খুযাইমা ১৪১৬, মেশকাত ১৫০৭)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক বেদুইন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমি অবশ্যই এমন এক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি যাদের রাখালদের পর্যাপ্ত আহারের সংস্থান নেই, এমনকি তারা তাদের চতুস্পদ জন্তুর বেঁচে থাকার আশাও ত্যাগ করেছে। তিনি (নবিজি) নামাজ পড়লেন এরপর মিম্বারে উঠে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলেন, এরপর দোয়া করলেন-

اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا طَبَقًا مَرِيعًا غَدَقًا عَاجِلاً غَيْرَ رَائِثٍ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিয়ান ত্ববাকান মারআন গাদাক্বান আঝেলান গাইরা রায়িছিন।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের সাহায্যকারী বৃষ্টির পানি দান করুন যা সুপেয়, পর্যাপ্ত, ফসল উৎপাদক, প্রচুর, অবলম্বনে, বিলম্বে নয়।’

এরপর তিনি মিম্বার থেকে নামলেন। এরপর যে সকল লোকই তাঁর কাছে এসেছে তারাই বলেছে, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ ১২৭০)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অনাবৃষ্টিতে নামাজ পড়ে উল্লেখিত দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা। হাদিসের ওপর আমল করা। আশা করা যায়, আল্লাহ বৃষ্টি দান করবেন।

সুত্র জাগো