অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় আনন্দঘন পরিবেশে শীতকালীন পিঠা উৎসব


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২০ ভোর ০৪:৫২

remove_red_eye

৮৮৩



হাসনাইন আহমেদ মুন্না : ভোলায় আনন্দঘন পরিবেশে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে জেলা বিচার বিভাগ এই উৎসবের আয়োজন করে। শুক্রবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা ও দায়রা জজ ড. এবিএম মাহমুদুল হক। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 
পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার, কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডর ক্যাপ্টেন এস এম মঈনউদ্দিন, চীফ জুডিশীয়াল মেজিস্ট্রেট এমজি আজম, অতিরিক্ত চীফ জুডিশীয়াল মেজিস্ট্রেট শরিফ মো: ছানাউল হক।
বক্তারা বলেন, পিঠা উৎসব আদী বাঙালীর অন্যতম ঐতিহ্য’র অংশ। অগ্রাহায়ণে মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তোলেন কৃষকরা। পৌষ ও মাঘ মাসের পুরো শীতজুড়ে নতুন চালের পিঠা উৎসব চলে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। নতুন চালের গন্ধে মৌ-মৌ করে গ্রামীণ বড়ি-ঘরের অঙ্গিনা।
তারা আরো বলেন, যদিও কালের বিবর্তনে অতিমাত্রায় শহারায়নের ফলে অনেকেই পিঠার স্বাধ হরাচ্ছে। বিশেষ করে শহরে সমাজের নতুন প্রজন্ম পিঠাকে ভুলতে বসেছে। তাই এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মের সাথে গ্রাম-বাংলার অতিত ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা ও আমাদের পিঠার স্বাধকে স্বরণ করিয়ে দেয়।
জেলা জজ কোর্ট চত্তরে উৎসবে মোট ১১টি স্টলের আয়োজন করা হয়। ভোলা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধীক প্রজাতীর পিঠা উৎসবে প্রদর্শন করা হয়। উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে, কাঠাল পাতা পিঠা, তিন পাকন, এ্যাগ স্পাইসি, পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, ঠেলা খিচুরী পিঠা, ফুল পাকন, ঝাল পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা, নকশী পিঠা, ছিনুক পিঠা, ক্ষীর পাকন, রসবরা, সবজি পিঠা, দুধ পলি, জামদানি পিঠা, সূর্জমূখী, গোলাপী, দুধরাজ, রসপলি, সন্দেস, মালপোয়াসহ বাহারী ও মজাদার হরেক ধরনের পিঠা উৎসবে স্থান পায়।
স্থানীয় বিচার বিভাগের শীতকালীন এমন পিঠা উৎসবে দর্শনার্থীদের বেশ ভীর দেখা যায়। এছাড়া রাতের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।