অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলা-লক্ষীপুর নৌ-রুটে প্লান ছাড়াই নিরাপদ নৌযান সি-ট্রাকের তলা পরিবর্তন হচ্ছে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে জানুয়ারী ২০২০ রাত ০৩:৫৬

remove_red_eye

৫৫৯


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা-লক্ষীপুর রুটে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডবিøউটিসি’র  সি-ট্রাক খিজির-৫ এর কোন প্রকার প্লান ছাড়াই  স্থানীয় ব্যক্তি মালিকানার ডকইয়ার্ডে মেরামতের নামে তলা পরিবর্তন করা হচ্ছে।  তলাসহ বিভিন্ন অংশ  কেটে জোড়া দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদারকি কর্মকর্তারাও জানেন না।
সাগর বা উপকূলে ডেঞ্জার মৌসুমে চলাচলের নিরাপদ নৌযান হিসেবে এটি চীনে ২০০৩ সালে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মান করা হয়ে ছিল।  এমন স্পর্শকাতর নৌযানের কোন ত্রæটি এত দিন মেরামত করা হতো বিআইডবিøউটিসি’র নিজস্ব ডকইয়াডে। কিন্ত সম্প্রতি এটি ইজারাদারের ব্যক্তি সুবিধা হাসিল করতে ক্রুটি মেরামতের নামে  ইঞ্জিন রুমসহ তলা পরিবর্তন করা হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা এলাকার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে।  বিষয়টি তদারকি কমিটির  তিন সদস্যেরর প্রধানসহ দু’জনই জানেন না। ওই কমিটির তৃতীয় সদস্য সহকারী ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ জানান, এক সপ্তাহ আগে ভোলার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে তোলার সময় তিনি কেবল উপস্থিত ছিলেন। তবে কি মেরামত করা হচ্ছে তা তিনি জানেন না।
ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রং দেয়াসহ সামান্য কিছু কাজের মেরামতের বিষয়ে বিআইডবিøউটিসি’র সদর দফতর থেকে তদারকি করার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওই চিঠি সদস্যদের দেয়া হয়।  কমিটির প্রধান ভোলা-ল²ীপুর রুটের ফেরির দায়েত্ব থাকা ম্যানেজার কেএম এমরান হোসেন ও কমিটির সদস্য সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, তারা সদর দফতর থেকে চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু কবে , কখন , কোথায় একং কি ধরনের ত্রæটি মেরামত করা হবে, ওই ব্যাপারে সি-ট্রাক ইজারাদার তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেন নি। ফলে বিষয়টি তারা জানেন না। রবিবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার কলঘাট এলাকার আহম্মেদ ডকইয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সি-ট্রাকের তলাসহ বিভিন্ন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। অপরদিকে জোড়া দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রæত রং করা হচ্ছে । কোন তদারকি কর্মকর্তা বা প্রকৌশলীকে দেখা যায় নি।  সি-ট্রাকের লস্কর মাকসুদুর রহমান জানান, অফিসের অনুমতি আছে বলে তাদের ইজারাদার জানিয়েছেন। ৬/৭ দিন ধরে কাজ চলছে। ইজারাদারের প্রতিনিধি মোঃ মাকসুদ জানান, অনুমতি নিয়েই তারা কাজ করাচ্ছেন। বিআইডবিøউটিসি’র ডিজিএম শাহ নেওয়াজ শাহীন জানান, সমুদ্র চলাচল উপযোগী সি-ট্রাকের তলা মেরামতের জন্য গেজিং অথরটি রয়েছে। তাদের তত্বাবধানেই কেবল তলা গেজিং করা সম্ভব। চট্টগ্রাম মার্কেন্টইন মেরিন ডিপার্টমেন্ট কর্তুপক্ষ  কাজ শেষে সনদ দিয়ে থাকেন।  সার্ভে সনদ ছাড়া কোন জাহাজ সাগর বা নদীতে নামতে পারবে না। অভিযোগ রয়েছে বশির আহমেদ নামের এক ব্যাক্তি বিআইডবিøউটিসি’র সি-ট্রাক খিজির-৫ দুই বার ইজারা নিয়ে টানা ৭ বছর চালাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, তিনিই এটি মেরামতের জন্য বে-সরকারি মালিকানাধিন ডকইয়ার্ডে এনে এর আদল পরিবর্তন করাছেন। ওই ডকইয়ার্ডের মালিক  মোঃ আলী আহম্মেদ জানান, তার লোকজন এটি মেরামত করছেন। এতে প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ইজারাদার বশির আহম্মেদের ম্যানেজার মাকসুদ জানান, সরকারি ডকইয়ার্ডে গেলে, হয়রানি হতে হয়। তাই তারা বেসরকারি ডকইয়ার্ডে মেরামত করাচ্ছেন। এর জন্য অনুমতিও নিয়েছেন।