অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে জানুয়ারী ২০২০ রাত ০৩:১০

remove_red_eye

১২৭০




আকতারুল ইসলাম আকাশ : “ছেলে ২১ ও মেয়ে ১৮ বছর আগে বিয়ে না কারো” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্কুল ভিত্তিক সচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল সকালে ভোলা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এবং ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সভায় প্রধান অতিথি  হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন।

ভোলা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী আদিল হোসেন তপু, মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের সভাপতি সাংবাদিক বেলাল হোসেন, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারন স¤পাদক এম শাহরিয়ার জিলন, ভোলা নাগরিক অধিকার ফোরামের যুগ্ম স¤পাদক প্রভাষক মীর নুরে আলম ফরহাদ, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নির্বাহী সদস্য ইমরান হোসেন ইমু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম স¤পাদক এম মইনুল এহসান।

বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির প্রচার স¤পাদক গোপাল চন্দ্র দে এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নির্বাহী সদস্য অংকুর রায়, দপ্তর স¤পাদক ইমতিয়াজুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্য বিবাহ আমাদের দেশের দীর্ঘ দিনের একটি সামাজিক অভিশাপ। বাল্য বিবাহের অভিশাপে একজন নারীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বিকশিত হতে দেয় না। একটি সুস্থ জাতি পেতে হলে দরকার একজন
শিক্ষিত মা। শিক্ষিত মায়ের দ্বারাই সম্ভব একটি সুস্থ জাতি এবং একটি সুস্থ সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তোলা। কিন্তু বাল্য বিবাহের কারণে আমাদের এই সমাজের বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আগামী প্রজন্মও সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠা ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে
উঠতেও বাল্য বিবাহ বড় একটি বাধা। আমাদের জীবনে আধুনিকতা ও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও বাল্য বিবাহের প্রবনতা কমেনি। বাল্য বিবাহ বন্ধে শুধু আইন নয়, দরকার জনসচেতনতা বৃদ্ধি। বাল্যবিয়ের ক‚ফল স¤পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পারলে বাল্যবিয়ে মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। অনুষ্ঠানে ছেলেদের ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর আগে বিয়ে না করার আহবান জানিয়ে শপথ করানো হয়।