অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


কাজের অজুহাতে নামাজ কাজা করা যাবে কি?


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা মার্চ ২০২৩ বিকাল ০৪:৫৬

remove_red_eye

৩২৩

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ কোনো ব্যক্তি কাজের কারণে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারেন না। পরে ঘরে এসে তা কাজা করে পড়েন। মানে সময়ের পরে তিনি তা আদায় করেন। এভাবে কাজের অজুহাতে সময়মতো নামাজ না পড়া কি শরিয়ত সম্মত?

নামাজের কাজা হলো- কোনো কারণবশতঃ সময়মতো নামাজ পড়তে না পারা। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা অসুবিধার কারণে যথা সময়ে নামাজ আদায় করতে পারল না। সেটার ব্যবস্থা হলো কাজা। কিন্তু নিয়মিতভাবে যদি এটাকে অভ্যাস করা হয় অথবা প্রতিদিনই একই ঘটনা ঘটে। এক কথায় সময়মতো নামাজ না পড়ে পরে নামাজ পড়াকে দৈনিক রুটিনে রূপান্তরিত করা হয় তবে সেটা কোনোভাবেই শরিয়তে গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে কাজের অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে বলছেন-
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا
অর্থ : ‘যারা আমাকে পাওয়ার জন্য আমার হুকুম মানার জন্য চেষ্টা করবে, অবশ্যই আমি তাদের পথ প্রদর্শন করব।’ (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৬৯) অর্থাৎ তাদের রাস্তা দেখিয়ে দেব। অবশ্যই অবশ্যই আমি তাদের জন্য পথ অবারিত করব।

সুতরাং মুমিন মুসলমান মাত্রই যেকোনো মূল্যে অজুর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অজু থাকতে হবে এবং রাখতে চেষ্টা করব। আর কাজের ক্ষেত্রে অন্তত ফরজ নামাজটি আদায়ের জন্য হোক- একটা পথ খুঁজে বের করতেই হবে। যেমন- টয়লেটে যাওয়াটা প্রাকৃতিক প্রয়োজন। না গিয়ে কেউ পারে না। প্রয়োজন হলে যেতেই হবে। লাঞ্চ ব্রেক দিতেই হবে। একইভাবে নামাজও মুমিনকে একই পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে, যেহেতু মুমিন এক আল্লাহতে বিশ্বাসী। ওই পর্যায়ে নিয়ে নামাজের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিয়মিতভাবে ঘরে এসে সব নামাজ এক সঙ্গে কাজা পড়া, এটার সুযোগ ইসলামে নেই।

সুত্র জাগো