অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ১০:১১

remove_red_eye

৫৪০

মোঃ ইসমাইল: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানায় জমি বিরোধের জেরে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম (৪৫) হত্যার সাড়ে ৪ মাস পর মামলার প্রধান আসামী আবু তাহের মাঝি (৫১) ও কুলসুম বেগম (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। আটককৃতদের বাড়ি উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এরা নিহত মাওলানা নুরুল ইসলামের আপন চাচা ও চাচী। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শশীভূষণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপঙ্কর দের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ১ নম্বর গলি থেকে মামলার প্রধাান আসামী আবু তাহের মাঝি ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগমকে গেপ্তার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যা কা-ের সাথে তাদের নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ও হত্যাকা-ের বিষয়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে এর সাথে জড়িত অন্য আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম ও তার চাচা আবু তাহের মাঝির পরিবারের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত পাওনা টাকার ভাগ নিয়ে আবু তাহের মাঝির পরিবারের সদস্যরা মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মরিয়মকে কুপিয়ে জখম করে। পরে এদের দুই জনকে প্রথমে চরফ্যাসন হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা নুরুল ইসলাম মারা যায়। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর পরই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নুরুল ইসলাসের চাচা আসামী আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়।





আরও...