অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


কলেজ ছাত্রী লাইজুর খুনিদের ফাঁসির দৌলতখানে দাবিতে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ই জানুয়ারী ২০২০ রাত ১২:২৬

remove_red_eye

৫৮০


 দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সুকদেব মদন মহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী লাইজু বেগমের (১৮) খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। সুকদেব মদন মহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যোগে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় দৌলতখান পৌর শহরের দক্ষিণ মাথায় সেলিম চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।
এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগন ও অভিবাবক-বৃন্দ বলেন, যত দ্রæত সম্ভব লাইজু বেগমের নৃশংস হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে বলে ¯েøাগান দেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল দৌলতখান বাজার প্রদক্ষিণ করে সেলিম চত্তরে এসে শেষ হয়।
দৌলতখান সুকদেব মদন মহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক জসিমউদ্দিন বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাক্তন মেধাবী শিক্ষার্থী লাইজু বেগমকে তার স্বামী মাদকাসক্ত তানজিল নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। প্রশাসনে দৃষ্টি কামনা করে জসিম বলেন, লাইজু বেগমের স্বামী তানজিলসহ পরিবারের লোকজনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানান তিনি। উত্তরপূর্ব চরখলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন সেলিম বলেন, সুকদেব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্রী লাইজু বেগমকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত তার স্বামী তানজিল ও পরিবারের লোকজন। প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানান। এসময় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিয়া আক্তার বক্তব্য রাখেন। এসময় সুকদেব মদন মহন মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক নাজুমল হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরনবী তালুকদার, সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম সহ অন্যন্যা শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। 
 উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তুলাতলি গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে লাইজু বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তার স্বামী তানজিল সহ পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ভোলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাইজু বেগমের মৃতদেহ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার পরদিন শুক্রবার রাতে লাইজু বেগমের বড় ভাই ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে বোনের স্বামী তানজিলসহ পরিবারের ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, ওসি তদন্তকে মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।