অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় কারিতাস উদ্ভাবন করলো ৫শ’টাকায় প্রযুক্তি নির্ভর ফ্লোটবয়া


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ১০:০৪

remove_red_eye

২৬৭



মনুপরায় জেলেদের  মধ্যে এমন ৪ হাজার বয়া বিতরণ

অমিতাভ অপু :  ভোলার  নদী ও সমুদ্রগামী জেলেদের জীবন রক্ষায় মাত্র ৫শ টাকায় তৈরী প্রযুক্তি নির্ভর ফ্লোটবয়ার উদ্ভাবন করেছে কারিতাসের মাঠ কর্মীরা। রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে  অনুষ্ঠিত এক সভায় ওই বয়ার  কর্ম কৌশল ও টেকসই কারিগরি তথ্য তুলে ধরেন কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক মি. ফ্রান্সিস বেপারী ।  জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই লাহী চৌধুরীর হাতে  তৈরী করা  ফ্লোট বয়া তুলে দেন কারিতাস কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে মনুপরা উপজেলায় জেলেদের মধ্যে এমন ৪ হাজার বয়া বিতরণ করা হয়েছে। ১৫টি ফ্লোট স্থানীয় ভাসায়  ফুলুট ( জাল ভাসিয়ে রাখার জন্য ছোট বল জাতীয়) কে রশিদিয়ে বেঁধে এই বয়া তৈরী করা হয়েছে। এক একটি বয়া ধরে তিন জন জেলে ভেসে থাকতে পারবেন। ফলে প্রতি নৌকা বা ট্রলারে মাত্র ৩ থেকে ৪টি বয়া রাখলেই ঝড়ের মুখে পড়ে নৌকা বা ট্রলার ডুবে গেলে বা বিধস্ত হলেও ভেসে থাকতে পারবেন জেলেরা। এই বয়ার সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তিতে লাইটার ও সাইরেণ বাজানোর প্রযুক্তির ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে । ফলে দুর্যোগ কবলিত জেলেদের রক্ষায় অপরাপর জেলেরা ছুটে আসতে পারবে।
মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরী জানান, তার উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়াসহ ৪টি ইউনিয়নে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ  কাজল জানান, তার এলাকায় ৪ হাজার ২শ নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। যারা প্রতি নিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। এদের নিরাপত্তা দিতে এই বয়া বিশেষ গুরুত্ববহন করবে। তার এলাকার জেলেরা ওই বয়া নিয়ে নদীতে পরীক্ষা করে দেখেছেন। কারিতাসের  কর্মসূচি কর্মকর্তা স¤্রাট সেরাও বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর তাদের বয়াটি জেলেরা সহজেই নিজেরাই তৈরী করবেন। তারা শুধু কারিগরি প্রশিক্ষণ দিবেন।  এই বয়া তৈরী করতে কি ধরনের উপকরণ প্রয়োজন তার বিষয়ে বর্ণনা করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ নাসির উদ্দিন। এ সময় বিআইডবিøউটিএ’র  কর্মকর্তারা জানান স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরী করা বয়াটি জীবন রক্ষা করবে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। তবে যেহেতু জালের ফুলুট ভেসে থাকে। তাই এক সঙ্গে ১০ থেকে ১৫টি ফ্লুট ধরে যে কোন মানুষ ভেসে থাকতে পারবে। এই প্রযুক্তিতে তৈরী সকল নৌযানেও রাখা যাবে বলেও জানান নদী বন্দর কর্মকর্তা সহকারি পরিচালক মোঃ সহিদুল ইসলাম। জেলার ১ লাখ ৭০ হাজার জেলের পাশপাশি দ্বীপ জেলা ভোলার ২০ লাখ মানুষ এর সুফল পাবেন বলেও মনে করছেন ওই সময় উপস্থিত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ। তিনি জেলে ট্রলারে বয়া ব্যবহার নিশ্চিত করতে  মাছের আড়দ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা ।
এদিকে বয়র নমুনা দেখানোর সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন, জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম,  জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম মুন্সি ও মনপুরা উপজেলা  ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি  মোঃ নাসির মহাজন, ফ্লোট ব্যবসায়ী আবু হোসেন মেম্বর , প্রেসক্লাব সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা।  





আরও...