বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার দৌলতখানে পূর্বশত্রুতার জেরে আমির হোসেন (৫৫) নামে এক আওয়ামীলীগ নেতা প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মধ্যমেঘনায় অবস্থিত মদনপুর ইউনিয়নের চরমুন্সি গ্রামে গত ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমির হোসেন মৃত সোনা মিয়া বরদারের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত আমির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত মো: বিল্লাল হোসেন নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতার বিল্লাল হোসেন ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনাস্থল দুর্গম মধ্যমেঘনার চর মদনপুরে গেলে নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আমির হোসেন মাঝির সঙ্গে একই এলাকার ছালেম হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও টাকা পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। মাসখানেক আগে আমির হোসেনের পালিত ৫টি ভেড়া জোরপূর্বক নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ ছালেম হাওলাদার গংরা। পরে পুলিশের সহায়তায় ভেড়াগুলো ছালেম হাওলাদারের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে ছালেম হাওলাদার গংরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমির হোসেনকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আহত আমির হোসেনকে চিকিৎসার জন্য নিতে গেলে হামলাকারীরা বাধা দেয়।
নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার সময় তিনি নোয়াখালী ছিলেন ও তার মা বিবি কুলসুম ভোলা সদরে ছিলেন। এ সময় ঘরে ছিলো ছোট তিন বোন ও এক ভাই। এ সুযোগে গত ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাতে ছালেম হাওলাদার গংরা তাদের বসতঘর ভাঙচুর করে ঘরে ঢুকে তার বাবা আমির হোসেনের ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে পুলিশ সহায়তায় তার বাবাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে গত শুক্রবার আবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তার বাবা আমির হোসেন মারা যান।
অভিযুক্তরা এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তবে গ্রেফতার মো: বিল্লাল হোসেনের মা দাবি করে বলেন, এ ঘটনার সাথে তার ছেলে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) দৌলতখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১২ জনকে চিহ্নিত ও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামী মো: বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।