অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ঘন কুয়াশায় ক্ষতির শঙ্কায় আলু চাষীরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ১০:৪৩

remove_red_eye

৩০৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলায় চলতি মৌসুমে আলুর ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকরা স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ঘন কুয়াশায় লেইট বøাইট বা মড়ক রোগে আলু গাছ আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যাঁর ফলে কৃষকরা ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিয়মিত ওষুধ স্প্রের পাশাপাশি করছেন পরিচর্যাও।

অন্যদিকে সার-কীটনাশকের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ, ভালো দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এদিকে কুয়াশা থেকে আলু ক্ষেত রক্ষায় নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে প্রয়োগের পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের।

সরেজমিন সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দুই মাস আগে লাগানো আলুর বীজ থেকে এখন ক্ষেত ছেয়ে গেছে সবুজ পাতায়। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায়ও এতোদিন আলু ক্ষেত ছিলো রোগবালাই মুক্ত। কিন্তু আলু তুলতে সময় বাকি আছে আর একমাস। তখনই দেখা গেছে লেইট বøাইট বা মড়ক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আলু গাছ। এতে কৃষকের চোখেমুখে শঙ্কার ছাপ। এজন্য ক্ষেত সতেজ রাখতে পানি দেয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ সাত দিন আবার কেউ পাঁচদিন পরপর নিয়মিত ঔষধ স্প্রে অব্যাহত রেখেছেন আলু ক্ষেতে।

সদর উপজেলার দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের আলু চাষী আব্দুল শহিদ বলেন, ‘গত বছর ৪ একর জমিতে আলুর আবাদ করে ভালো দাম পাইনি। এ বছর আবাদ করেছি আড়াই একর জমিতে। আলু তোলার আর মাত্র একমাস বাকি আছে। যদি কুয়াশায় আলু ক্ষেত নষ্ট না হয় তাহলে ফলন ভালো হবে। আলু তোলার পর সরকার যদি দাম নিয়ন্ত্রণ করে এবং আলু বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দেয় তাহলে লাভবান হওয়া যাবে।’

একই গ্রামের কৃষক মতিন আহমেদ বলেন, ‘সার-কীটনাশক এমনকি দিনমজুরেরও দাম বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। গত বছর আলু ৭-৮ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এ বছর দাম কম থাকলে আবাদ ছেড়ে দিব।’

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপজেলা কৃষি অফিসার এ এফ এম শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের দেয়া পরামর্শে নিয়মিত ম্যানকোজেব নামক ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করলে কুয়াশা থেকে আলু ক্ষেত রক্ষা করা সম্ভব হবে। আমরা সে পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরা যদি সঠিক নিয়মে স্প্রে করা অব্যাহত রাখে তাহলে ফলন ভালো হবে। কৃষকরাও লাভবান হবেন।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর সদর উপজেলায় চারশো ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন উচ্চ ফলন জাতের আগাম আলুর চাষাবাদ হয়েছে। বারি-১, বারি-৪, বারি-৭, বারি-৮সহ উন্নত জাতের আলু চাষ হয়েছে ৬৫ ভাগ জমিতে আর ৩৫ ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে দেশি জাতের আলু।





আরও...