অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে জব্দকৃত মালামাল গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ০৯:৫০

remove_red_eye

২৮৯

 তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের মেঘনায় মৎস্য অফিসের অভিযানে জব্দকৃত জালের সাথে থাকা বটের কাছি ও ২৪টি নোঙ্গর নিলাম না দিয়ে গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সুত্র জানায়, শনিবার বেলা ৩টার দিকে লালমোহন মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মোঃ তানবীর এর নেতৃত্বে উপজেলার কামারখাল এলাকার মেঘনা নদী থেকে দুইটি ধরা নৌকার জাল নোঙ্গর আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে,মৎস্য অফিসের মাঝি শাহিন তজুমদ্দিন ¯øুইজঘাটে এনে রাতে গোপনে ভুক্তভোগী মালিক মাঝীদের কাছে নোঙ্গর ও জাল বট ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
ক্রয়কারী কাশেম ও ইউসুফ জানান, অফিসার তানবির ও মাঝি শাহিনের কাছ থেকে দুইটি নৌকার ২৪টি নোঙ্গর ২৪ হাজার টাকা এবং ১৯ হাজার টাকায় কাছি কিনে নেয়া হয়েছে।

মৎস্য অফিসের নৌকার মাঝি শাহিনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, স্যারেরা যেভাবে নির্দেশ দেন, আমরা সেভাবে কাজ করি।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী বাত্তিরখাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কামাল জানান, অভিযান শেষ করে আমরা চলে আসি, জব্দকৃত মালামাল মৎস্য অফিসারের হেফাজতে থাকে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মোঃ তানবীর এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, জব্দকৃত জাল বাসনভাঙ্গা চরে পোড়ানো হয়েছে,নোঙ্গর হেফাজতে আছে। জনসম্মুখে না পুড়িয়ে তজুমদ্দিনের চরে পোড়ানোর কারন ও মাঝি শাহিনের মাধ্যমে নোঙ্গর-বট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন। বার বার ফোন দিলে আর রিসিভ করেননি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রুহুল কুদ্দুস এর কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে অভিযানের তথ্য তার কাছে নেই বলে জানিয়ে অফিসে এসে তথ্য নিতে হবে বলে ফোন কেটে দেন।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদউল্লাহর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।