অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নেপালে শোক পালন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ই জানুয়ারী ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:১৫

remove_red_eye

৩০৩

নেপালে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে সোমবার একদিনের শোক পালন চলছে।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারায় যাওয়ার পথে রোববার সকালে নেপালের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৬৭ জনের প্রাণহানি নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে এ  কথা জানা গেছে। খবর এএফপি’র।
এদিকে গতকাল রাতে কয়েকশ’ নেপালি সৈন্যের সমন্বয়ে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তারা তিনশ মিটার গভীর গিরিখাদে এ তল্লাশি চালায়। সোমবার সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা এ কে ছেত্রি সোমবার বলেছেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৬৩ টি লাশ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্কার হলে তা আবার শুরু হবে।’
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেতি নদীর পাশে গিরিখাদে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অভিযান চালাতে উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
বিমানের ৭২ জন যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে ৬৭ জনই নিহত হয়েছে।  বাকী পাঁচজনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও জানা যায় নি। রোববারের দুর্ঘটনায় নিহত ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক। চারজন ক্রুসহ বিমানের ৭২ জন আরোহীর মধ্যে ৫৩ জন ছিলেন নেপালি, পাঁচ জন ভারতীয়, চার জন রুশ এবং দুই জন কোরীয়। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন ওই বিমানটিতে।
এদিকে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে নেপালের প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে সোমবার এক দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে।
 নেপালে দুর্গম রানওয়ে ও হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটিতে ১৯৯২ সালে সবচেয়ে মারাত্মক এক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৭ আরোহীর সকলেই প্রাণ হারিয়েছিল। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়।

সুত্র বাসস





আরও...