অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত  হতদরিদ্র‌ নিম্ন আয়ের মানুষ


অচিন্ত্য মজুমদার

প্রকাশিত: ৬ই জানুয়ারী ২০২৩ রাত ০৮:৩৮

remove_red_eye

২৭২

অচিন্ত্য মজুমদার: ভোলায় জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া, ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুক্রবার ভোলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজের বের হচ্ছেন খুব কষ্টে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
 
সরেজমিনে ভোলার বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, শীত বাড়ার সাথে সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোলার হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে ভোলায় কনকনে বাতাস, ঘন কুয়াশা ও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে আসায় জেঁকে বসেঝে শীত। 
ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহাবুব রহমান জানান, ভোলায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২ কিলোমিটার। এ আবহাওয়া আগামী ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
 
এদিকে শীতের তিব্রতা, ঘন কুয়াশা আর আকাশে মেঘ থাকায় দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে নিন্ম আয়ের মানুষ। কেউ আবার কাজ বন্ধ করে বসে আগুন পোহাচ্ছেন। 
 
ভোলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তি উপকূলের ৩ লাখ বাসিন্দা। বিশেষ করে জেলে এবং কৃষকদের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। চারিদিকে কুয়াশা আর বাতাস থাকায় চরম ঠাণ্ডায় কাজে বেড় হতে পারছেন তারা। পাশাপাশি গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে জেলার ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী।
 
এসময় ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী সংলগ্ন তুলাতলী এলাকার জেলে হাসেম মাঝি, বিল্লাল হোসেন ও আল-আমিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় তারা নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারছে না। তীরে বসে জাল বোনার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
 
একই উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক আব্বাস আলী ও জয়নাল মিয়া জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের মাঠে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। মাটিতে পা দিতেই কষ্ট হচ্ছে তাদের। এতে করে একদিকে যেমন তাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলের চারা গাছ।
 
উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম জানান, গত কয়েক দিনের শীতে আমরা কাবু হয়ে গেছি। আমাদে শীতের সম্বল ছেঁড়া কাথা। এদিয়ে কোন মতে শীত পার করছি। 
 
ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার পাশাপাশি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৩৬ হাজার ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।


 





আরও...