অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা  ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে ডিসেম্বর ২০২২ রাত ১০:৫৬

remove_red_eye

২৮৬

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক।। ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে হামলা ও জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপন নেওয়ার অভিযোগে আন্তজেলা ডাকাত দলের প্রধান মো. শাহজাহান ওরফে সাজু মাঝিসহ দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মুক্তিপনের নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ওরফে সাজু মাঝি (৫০), একই ইউনিয়নের মো. নিরব (৩৪) ও সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবুল বাশার (৩২)।
 বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা র‌্যাব ক্যাম্পে র‌্যাব-৮ (বরিশাল) এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহমুদুর হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, চলতি মাসের এক তারিখে আন্তজেলা জেলা ডাকাত দলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে জেলেদের নয়টি ট্রলারে হামলা চালায়। এসময় জেলেদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মাছ ও জালা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতি ট্রলার থেকে এক জন করে মোট নয়জন মাঝিকে অপহরণ করে নিয়ে ট্রলার মালিক ও অপহৃতদের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। এক পর্যায়ে ট্রলার মালিক ও পরিবার বিকাশের মাধ্যমে দুই লাখ আট হাজার টাকা মুক্তিপন দেয়। এর তিন দিন পর ডাকাতরা অপহৃত জেলেদেরকে রাতের বেলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার একটি চরে ছেড়ে দেয়।
এঘটনায় র‌্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু ছালেহ্ মো. আনছার উদ্দিনের নেতৃত্বে র‌্যাবের ২১ সদস্যের একটি দল টানা তিন দিন ভোলার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আন্তজেলা ডাকাত দলের প্রধানসহ তিন সদস্যকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় দুইটি রাম দা, একটি লোহার রড, একটি মোবাইল, অপহরণকৃত জেলেদের কাছ থেকে রেখে দেয়া ৮টি সিমকার্ড, দুইটি মেমোরীকার্ড ও মুক্তিপনের নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। 
র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহমুদুর হাসান আরো জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মার্ডার ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। একই সাথে ডাকাত দলের বাকী সদস্যদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। 

 





আরও...