অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে চরের জমি দখল  নিতে গৃহবধূকে হত্যা : গ্রেফতার ২


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪শে ডিসেম্বর ২০২২ রাত ১০:৪২

remove_red_eye

৪৫৭

 


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের বিছিন্ন শিকদার চরের জমি দখল নিতে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। এরা হলেন, মুজিব নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক (৫২) ও আব্দুল মান্নান (৪৮)। শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে এ কথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম।


পুলিশ সুপার জানান, মুজিব নগর ইউনিয়নের শিকদার চরে জমি দখন নিতে আব্দুল মালেক ও আসলাম গ্রুপে মধ্যে র্দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল মালেক গ্রæপের হত্যার কয়েকদিন আগে ওই ইউনিয়নের সেলিমের বাড়িতে বসে তারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একটি হত্যার পরিকল্পনা নেয়। ওই পরিকল্পনায় তারা শিকদার চরে বাসিন্দা ও ঢাকায় ট্রাক ড্রাইভার মোঃ ইব্রাহীম নামে হত্যাকারীর সাথে ১০ একক জমি দেওয়ার চুক্তিতে তাকে ভাড়া করে। ভাড়াকে খুনি ইব্রাহীম গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে আসেন। এবং হত্যার ঘটনার দিন তারা নিহত গৃহবধূর স্বামী মোঃ বাচ্চু মেলকারকে ভোলায় মামলার হাজিরা দেওয়ার মিথ্যে কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে আব্দুল মালেক মেম্বাররের বাড়িতে রাখেন। এরপর ২৯ নভেম্বর রাতে একটি ট্রলার নিয়ে জসিম, মান্নান, ইব্রাহীম ও রফিক শিকদার চরে যান। এবং রফিক ওই বাড়িতে পাহারায় থাকেন ও জমিস ট্রলারে অবস্থান করেন এবং ইব্রাহীম ও আব্দুল মান্না হত্যাকান্ড ঘটনায়।
জানা যায়, মান্নান ৫২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে মালেক মেম্বারকে দিয়েছে ওই চরের জমির বন্দবস্তের জন্য।  মান্নান, ইব্রাহিম, সেলিম, জসিম ও রফিক সব মিলিয়েই পাঁচজন হত্যা করবে বলে ঠিক করে এবং ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে সেলিম, আব্দুল মান্নানকে ১৫ হাজার টাকা দেয়। তারা সেই টাকা উঠিয়ে দুইটি চাকু কিনে। ঘটনার আগের দিন ইব্রাহিম, বাচ্চুর বাড়ি  এবং ঘরে কয়জন থাকে তা দেখে আসে। মালেক মেম্বার মামলার হাজিরা দেওয়ার কথা বলে বাচ্চুকে তার সাথে নিয়ে আসে  এবং সেই সুযোগে বকুল বেগমকে হত্যার জন্য অন্যান্য সদস্যদের পাঠায়। ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে সেলিম তার ভাইয়ের ট্রলারে করে রাতে সবাইকে নিয়ে বাচ্চুর বাড়ি যায়। রফিক বাড়ির বাইরে  পাহাড়া দেয়। জসিম নৌকায় অবস্থান করে। ইব্রাহিম এবং মান্নান সরাসরি হত্যাকান্ড অংশগ্রহণ করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যাকারীরা মুকুল বেগমকে হত্যার করে তার বোন বকুল বেগমকে হত্যার জন্য আঘাত করে কিন্তু সে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় আমরা  শুক্রবার রাতে ওই দুই আসামীকে গ্রেফাতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এবং বাকীদের গ্রেফতারের চস্টো চলছে।
উল্লেখ্য , গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে রাতের খাওয়া শেষে বসত ঘরের সামনের বারান্দায় খাটের উপর ঘুমিয়ে পড়েন। ওই দিন মধ্যরাতে আসামীরা (মুখ বেঁধে) ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বকুল বেগমকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে বুকে, পেটে, ডান ও বাম হাতে এবং বাম পায়ের হাটুর নিচে গুরুতর জখম করে।  আসামীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বকুল বেগম এর পেট কেটে নাড়ী-ভুড়ি বেড় হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।





আরও...