অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে বখাটের ভয়ে স্কুল ছাত্রী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১শে নভেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:১৩

remove_red_eye

৭৬২

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি || ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কাজিকান্দি গ্রামের মোঃ রাকিব (২২) নামে বখাটের ভয়ে একই গ্রামের স্কুল ছাত্রী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীকে নিয়ে গত ২২ দিন ধরে বাড়ি-ঘরে ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা। এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে ছাত্রীর স্বজনদের দফায় দফায় মারধর করে আহত করছেন ওই বখাটে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের হামলায় বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে মোঃ মঞ্জু (২৪) নামে ওই ছাত্রীর চাচা আহত হয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমতের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার ২২ দিনেও বখাটে রাকিবকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেনি এ নিয়ে পুরো তজুমদ্দিন উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ওই ছাত্রী ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাজিকান্দ গ্রামের রাজমিস্ত্রী আঃ মতিনের মেয়ে ও তজুমদ্দিন ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী। এবং বখাটে রাকিব একই গ্রামের মোঃ সেলিমের ছেলে।

ছাত্রীর পিতা আঃ মতিন জানান, গত দুই মাস ধরে রাকিব আমার মেয়েকে স্কুল যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত ও ইভটিজিং করে আসছেন। বিষয়টি তার অভিভাবকে জানালে কোন লাভ হয়নি। পরে গত ৩০ অক্টোবর তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এতে রাকিব আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে আমাকে, আমার বাবা রুহুল আমিন, বোন জ্যোসনা, ভাই সেলিম ও মঞ্জুকে পিটিয়ে আহত করে জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ের চেষ্টা করে। এ ঘটনায়র পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর আমি ও আমার স্ত্রী মেয়ে নিয়ে পালিয়ে তজুমদ্দিন বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই। পরে সেখানে রেখে আমার মেয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।

তিনি আরো জানান, বখাটে রাকিব আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়িতে গিয়ে ফিরে মেয়েকে তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য হুমকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার রাতেও রাকিব তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মহিউদ্দিন ও সিরাজকে নিয়ে আমার বাড়িতে যায়। পরে বাড়ি থেকে ফেরার পথে আমার ছোট ভাই মঞ্জুর সাথে দেখা হলে তাকে রট দিয়ে এলোপাতালো মারধর করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল চৌধুরী জানান, আমি ওই ছেলের বাবাকে আগেই সতর্ক করেছি। কিন্তু শুনেনি।
তজুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহম্মদ জানান, ছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। কিন্তু আমরা ওই ছেলেকে খুঁজে পাইনি। তবে বুধবারের মারধরের ঘটনায় মহিউদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করেছি।