অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার দুই সরকারি বিদ্যালয়ে  ১১৫ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩শে ডিসেম্বর ২০২২ রাত ১০:১৬

remove_red_eye

২৫২

অমিতাভ অপু : ভোলায় সরকারি দুটি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির  লটারী প্রক্রিয়ায় জালিয়াতিয়ায় অভিযোগে ১১৫ জন শিক্ষার্থীও ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমন জালিয়াতির অংশ নেয়া নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন স্কৃল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যশিক্ষক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে  লটারীতে সুযোগ পাওয়া ওই সব শিক্ষার্থীদের আবেদন বাতিল করে আসন শূণ্য ঘোষনা করা হয়েছে। কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকদের এমন জালিয়াতির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই লাহী চৌধুরী। ক্ষোভ জানান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ছালেহ উদ্দিন । তিনি জানান অভিযুক্তদের খুঁজে  বের করে তালিক্ াপ্রকাশ করতে ৪ জন শিক্ষককে টানা ৩ দিন কাজ করতে হয়েছে।  
 জেলা প্রশাসন তফতরের সূত্রে জানা গেছে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনির প্রভাতি শাখায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৮০ জন। এর মধ্যে ২৮ জনের ভর্তি বাতিল করা হয়। একই কারণে তৃতীয় শ্রেনির দিবা শাখায় ৮০ জনের মধ্যে ২৩ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেনির প্রভাতি শাখায় ৩৯ জনের মধ্যে ১৪ জন, ওই শ্রেনির দিবা শাখায় ৪৫ জনের মধ্যে ১৫ জন, ৭ম শ্রনিতে দিবা ও প্রভাতি শাখায় ৮ জনের মধ্যে ২ জন, ৮ম শ্রনির দিবা শাখায় ৪ জনের মধ্যে ১ জন, ৯ম শ্রেনির প্রভাতি ও দিবা শাখার ৭ জনের মধ্যে ২ জনের ভর্তির সুযোগ পাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির দিবা ও প্রভাতি শাখায় ২৬ জন ও ষষ্ঠ শ্রেনিতে ৫ জনের আবেদন বাতিল করা হয়। ওই স্কুলে প্রথম দিকে এমন জালিয়াতির বিষয় নজরে না আসায় অনেকে ভর্তির সুযোগ নেয়। প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, পরে নির্দেশ পেয়ে ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তিও  বাতিল করা হয়। এদিকে অন লাইনের আবেদন যাচাই করে দেখা যায়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনিতে ভর্তির জন্য এক শিক্ষার্থীর জন্য নাম পরিবর্তণ করে ৭ বার আবেদন করা হয়।  অপর এক  শিক্ষার্থীর জন্য আবেদন করা হয় ৫ বার। এভাবে একজন শিক্ষার্থীর নামে একাধিক আবেদন করা হয়। কখনও ছবি পরিবর্তন করা হয়। কখনও শিক্ষার্থীও নাম পরিবর্তন করা হয়। কখনও শিক্ষার্থীর নামে একাধিক জন্ম নিবন্ধন করা হয়। আবার অনেকে মা বাবার নামের সঙ্গে ডাক নাম যুক্ত করে আলাদা আবেদন করে।





আরও...